সমকালীন প্রতিবেদন : পঞ্চায়েতের ট্যাক্স না দিলে বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতার ফর্ম ফিলাপ করা যাবে না। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠলো দুয়ারে সরকারের শিবিরে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনায় সরব হয়েচে বিরোধীরা। যদিও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত।
দুয়ারে সরকারের শিবির থেকে সরকারি প্রকল্পের পরিষেবা পেতে গেলে আগে পঞ্চায়েতের ট্যাক্স পরিশোধ করতে হচ্ছে, এমনই অভিযোগ ওঠে বনগাঁ ব্লকের গোপালনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বুধবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হইচই শুরু হয় দুয়ারে সরকার শিবিরে। বুধবার গোপালনগর হরিপদ ইন্সটিটিউশনে দুয়ারে সরকার শিবির চলছিল।
এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেল পঞ্চায়েতের লোকজন টেবিল পেতে মানুষের কাছ থেকে ট্যাক্স নিচ্ছেন। সেখানেও লম্বা লাইন। লাইনে দাঁড়ানো মানুষদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পঞ্চায়েতের ট্যাক্স পরিশোধ না করলে পরিষেবা পাওয়া যাবে না। বিধবা ভাতা বার্ধক্য ভাতা সহ যে সমস্ত পরিষেবা পেতে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র লাগে, তার জন্য আগে ট্যাক্স দিতে হচ্ছে।
আর এই ট্যাক্সের রশিদ দেখিয়ে মিলবে পঞ্চায়েতের শংসাপত্র। এই ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন পঞ্চায়েত প্রধান মুক্তি হালদার। তিনি বলেন, কোনও জোরজুলুম নয়, গ্রামের মানুষের সুবিধার্থে দুয়ারে সরকারের শিবিরে ট্যাক্স সংগ্রহের কাজ করা হচ্ছে। বিরোধীরা মিথ্যা অভিযোগ করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন