সমকালীন প্রতিবেদন : আপনার জীবন বদলে যাবে। মাত্র ৫ টা পয়েন্ট। মেনে চললেই সুগার থাকবে ফুল কন্ট্রোলে! আর সুগার কন্ট্রোলে থাকলে জীবনের আনন্দ নতুন করে খাঁজে পাবেন। কোনো মনগড়া কথা নয়! কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? জাস্ট সোজা সরল পরামর্শ। জলেই হবে কামাল! প্রতিবেদনের শেষে থাকছে একটা স্পেশাল টিপস।
আসলে জল অনেক রোগ কে ভালো করে দিতে পারে। এই কথাটা অক্ষরে অক্ষরে সত্যি। নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পান করে রক্তকে হাইড্রেটেট রাখা যায়। যা, রক্তে শর্করাকে কমাতে পারে এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও কমাতে পারে। হাইড্রেটেড থাকলে আপনার খিদেও থাকবে আয়ত্তে। আর প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত চিনি বেরিয়ে যাবে শরীর থেকে। তাই জল মাস্ট।
এই জলের কথা বলতে হলে মেথি জলের কথাও বলা উচিত। এটা কিন্তু সুগারকে দারুন ভাবে কন্ট্রোল করতে পারে। পারলে প্রতি দিন ডায়াবিটিসের মাত্রা কেমন, তা মেপে তারপর মেথি ভেজানো জল খান। সঙ্গে যদি ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খান, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। নেক্সট পয়েন্টটাও খুব ইম্পর্টেন্ট। কার্বোহাইড্রেট কম গ্রহণ করুন।
জানেন, কি কি এড়িয়ে যাবেন ডায়াবেটিক রোগীরা? যে কোনো প্রসেসড ফুড, চিনিযুক্ত খাবার, পাস্তা, অ্যালকোহল, চিনি যুক্ত পানীয় সহ স্টার্চি খাবার। এমনকি চিকিৎসকরা প্রাণীজ প্রোটিন কম গ্রহণ করার পরামর্শও দিচ্ছেন। এক কথায়, স্বাস্থ্যকর খাবার দাবার খান। তাছাড়া, কেউ যদি সারাদিনে অল্প পরিমাণে খাবার খান, তাহলে রক্তে শর্করার পরিমাণ এমনিই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
নিয়মিত এক্সারসাইজ করুন। এতে কি হয় জানেন? আপনার কোষগুলো রক্তে শর্করাকে আরও কার্যকরীভাবে ব্যবহার করতে পারে, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে। এক্ষেত্রে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানোর মতো অপশনগুলো কিন্তু দারুন কার্যকরী। শুনলে অবাক হবেন, একটা গবেষণা অনুসারে জানা গেছে, সাইকেল চালানো টাইপ টু ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। তবে হ্যাঁ সুগারকে কন্ট্রোলে রাখতে হলে নিয়মিত হাঁটাহাঁটি, জগিং এবং যোগব্যায়াম মাস্ট।
আর, যতটা সম্ভব চিন্তা মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। মানসিক চাপের কারণে, শরীর গ্লুকাগন এবং কর্টিসল নামক হরমোন নিঃসরণ করে। যা, রক্তে শর্করাকে বাড়ায়। তাই প্রথমেই যে কোনও ধরনের মানসিক চাপ এড়িয়ে চলুন। যে বিষয় আপনার মনকে আনন্দ দিতে পারে, সেই বিষয় নিয়ে চর্চা করুন। মানসিক চাপকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন।
আর কাজে লাগান ৩ টে বিশেষ ম্যাজিক জুস। শশার রস, আপেলের রস এবং টমেটোর রস। এই তিনটেই ডায়াবেটিসের যম। তবে হ্যাঁ ডায়াবেটিক রোগীরা নিজেদের মন-মর্জি মাফিক হঠাৎ করে কিছু খাওয়া শুরু করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপর নিজেদের খাদ্য তালিকা সাজান। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। মোদ্দা কথা, হেলদি লাইফস্টাইল মেনটেইন করুন। সুস্থ থাকুন। দেখবেন সুগার আপনাকে ছুঁতেও পারবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন