সমকালীন প্রতিবেদন : ইডেনে বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ খেলবেন না শুভমন গিল। সোমবার পঞ্জাব দলের সঙ্গে কলকাতায় আসেননি তিনি। কিন্তু ব্যক্তিগত কাজের জন্য বাংলার বিরুদ্ধে না খেলার অনুমতি চেয়েছিলেন শুভমন। শেষ ম্যাচ চলাকালীন পঞ্জাব দলকে তিনি এই বিষয়ে জানান। ভারতীয় বোর্ডের কাছেও ছুটি চান। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তাই শুভমনকে ছাড়াই বাংলার সঙ্গে খেলবে পঞ্জাব।
যদিও বাংলার বিরুদ্ধে নেই পঞ্জাবের একাধিক তারকা ক্রিকেটার। অভিষেক শর্মা ও আর্শদীপ সিং ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের হয়ে খেলছেন। সেই দলে সুযোগ পেয়েছেন রমনদীপ সিংও। নীতীশ কুমার রেড্ডি ও রিঙ্কু সিংহ চোট পেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পরে রামনদীপকে ডাকা হয় ভারতীয় দলে। তিনি শেষ রঞ্জি ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু বাংলার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না।
পঞ্জাব যদিও নিয়মরক্ষার ম্যাচ খেলতে আসছে। দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই তাদের। লক্ষ্মীরতন শুক্লাদের সামনে এখন অঙ্কই শুধু ভরসা। একেবারে অলৌকিক ঘটনার অপেক্ষা করতে হবে তাদের। বাংলার ছয় ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। তারা গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে বাংলাকে বোনাস পয়েন্ট-সহ জিততে হবে।
পাশাপাশি প্রার্থনা করতে হবে, বিরাট অঘটন ঘটিয়ে বিহার যেন কেরলকে হারিয়ে দেয়। কর্নাটকও যেন হরিয়ানার কাছে হারে বা ম্যাচ ড্র হয়। সেক্ষেত্রে হরিয়ানা যেন প্রথম ইনিংসের লিড নেয়। বাংলা ও কেরল দুই দলেরই পয়েন্ট তখন হবে ২১। গ্রুপে দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে দেখা হয় নিজেদের মধ্যে ম্যাচে কারা জিতেছিল অথবা প্রথম ইনিংসে কারা এগিয়ে ছিল।
কিন্তু বাংলা বনাম কেরল ম্যাচের একটি করে ইনিংসও শেষ হয়নি। সেই ম্যাচ থেকে কিছুই নির্ধারিত হবে না। এর পর দেখা হয় কোন দল সরাসরি বেশি ম্যাচ জিতেছে। কেরল বিহারের কাছে হেরে গেলে দু’টি সরাসরি জয়ে আটকে যাবে। বাংলা পঞ্জাবকে হারালে মরসুমে দু’টি জয় হবে। সেই হিসাবেও হবে না মীমাংসা। তখন দেখা হবে নেট রান রেট।
কিন্তু এত হিসেব আদৌ কি কাজে লাগবে? অঙ্কের বিচারে অনুষ্টুপরা টিকে থাকলেও মানসিকভাবে একেবারে বিধ্বস্ত। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাংলা কাকে ওপেন করাবে, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়কেও পরীক্ষা করে দেখা হল ওপেনার হিসেবে। কিন্তু পঞ্জাব ম্যাচে সেই ঝুঁকি নেবে না দল। তাই এখন ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছেন দুই দলের সমর্থকরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন