সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছর শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। অথচ এবার তাঁকে ধরে রাখার তেমন চেষ্টাই করেননি কেকেআর কর্তৃপক্ষ। নিলাম থেকেও শ্রেয়সকে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সেভাবে ঝাঁপায়নি কেকেআর। কয়েক মাস নাকি যোগাযোগও রাখেননি কেকেআর কর্তারা। বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন হতাশ শ্রেয়স।
বেশ কিছুদিন পর আবার ভারতীয় দলে দেখা যাবে শ্রেয়সকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে রয়েছেন মুম্বইএর এই ক্রিকেটার। এই মুহূর্তে ভারতের অন্যতম সেরা মিডল অর্ডার ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হয় তাঁকে। তবু তাঁকে ধরে রাখার ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিকতা দেখায়নি কেকেআর কর্তৃপক্ষ।
জম্মু-কাশ্মীরের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচের আগে মুখ খুলেছেন শ্রেয়স। কেকেআরকে আইপিএল জেতানো প্রাক্তন অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কেকেআর না রাখায় খুব হতাশ হয়েছিলাম। আমার সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগই করা হয়নি। কী হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না। রিটেনশনের এক সপ্তাহ আগে যোগাযোগ করা হয়। বুঝতে পারছিলাম কিছু একটা সমস্যা রয়েছে। তখন আমাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হতো। মনে হয়েছিল, কপালে যা আছে তাই হবে।’’
কেকেআর কর্তৃপক্ষ কি পরের বছরের দল নিয়ে কোনও আলোচনাই করেননি? এর উত্তরে শ্রেয়স বলেছেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর কিছু আলোচনা হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পরের কয়েক মাস আর কোনও কথা হয়নি। কাদের ধরে রাখা হবে, তা নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। দলের তরফে তেমন কোনও উদ্যোগ দেখিনি। সব মিলিয়ে বেশ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’’
শ্রেয়স জানিয়েছেন, কেকেআর কর্তৃপক্ষের নিস্পৃহতার জন্যই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যোগাযোগের অভাবে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন উভয়পক্ষ যৌথভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বলা যায়, একটা দীর্ঘ অচলাবস্থার সংক্ষিপ্ত সমাপ্তি।’’
কেকেআর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যথেষ্ট সুসম্পর্ক ছিল বলেও জানিয়েছেন শ্রেয়স। কেকেআরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘শুধু বলব শাহরুখ খান স্যর, কেকেআর পরিবার এবং সকলের সঙ্গে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। কেকেআরের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হতে পারা নিঃসন্দেহে আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সত্যিই দুর্দান্ত। দলের প্রতি মানুষের সমর্থন ছিল দেখার মতো। অসাধারণ পরিবেশ থাকত স্টেডিয়ামে। কেকেআরের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত ভীষণ উপভোগ করেছি।’’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন