সমকালীন প্রতিবেদন : শীতে ডায়াবেটিস রোগীদেরও পিঠে খাওয়ার ইচ্ছে হলে? না, অবাক হওয়ার কিছু নেই। পিঠে খেয়েও সুগারকে কন্ট্রোলে রাখা যাবে। তবে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। আর মানতে হবে কিছু নিয়ম। না, কোন মনগড়া কথা নয়। জানুন চিকিৎসকরা কি বলছেন?
গরম গরম পাটিসাপটা, ভাজা পিঠে, দুধ-পুলির মতো লোভনীয় সব পদ। আর সেইসব সুস্বাদু পিঠে মুখে দিয়েই শীতযাপন করতে পারবেন ডায়াবেটিক রোগীরাও। তবে, একটা জিনিস জানেন কি? অতি লোভনীয় পিঠের মূল উপাদান হল চালের গুঁড়ো এবং গুড়। এছাড়া, আজকাল কিছু কিছু পিঠেতে ক্রিম এবং চিজও মেশানো হয়। আর এই সমস্ত উপাদান মানেই ক্যালোরির ভাণ্ডার।
তাই টপাটপ পিঠে খেলে যে সুগার বাড়বেই, তা তো বলাই বাহুল্য। এমনকী সুস্থ-সবল মানুষেরাও কথায় কথায় পিঠে খেলে ওবেসিটি বা স্থূলতার মতো জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়তে পারেন। তাই পিঠে খাওয়ার সময় হিসেব করে চলাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাহলে জানুন কি রকম হিসেব করতে হবে।
আসল হিসেব ক্যালরির। ডায়াবেটিস রোগীদের সারাদিনে ১৪০০ ক্যালোরি গ্রহণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বিশিষ্ট চিকিৎসকরা বলছেন, চাইলে এই ১৪০০ ক্যালোরির মধ্যে ৫০০ ক্যালোরি একটা পিঠে থেকেই গ্রহণ করা যায়। তাতে বিশেষ অসুবিধার কিছু নেই।
তবে তারপর সারাদিনে মাত্র ৯০০ ক্যালোরি অন্যান্য খাবার থেকে গ্রহণ করতে হবে। মানে সহজে বললে, পিঠে খেলে সেইদিন অন্যান্য খাবার কম পরিমাণে খেতে হবে। জাস্ট, এই নিয়মটা মেনে চললেই সুস্থ থাকতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, ডায়াবেটিস রোগীরা পিঠে খাওয়ার আগে একবার নিজের চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আর পিঠে খাওয়ার ছাড়পত্র মিলেছে বলেই আবার টপাটপ পাটিসাপটা, ভাজা পিঠে গলাধঃকরণ করবেন না। এই ভুলটা করলে কিন্তু ফাঁসবেন। বরং সারাদিনে একটা পিঠে খান।
নিজের উপর এই নিয়ন্ত্রণটা রাখতে পারলেই আপনি অনায়াসে ডায়াবেটিসকে কন্ট্রোল করতে পারবেন। অন্যথায় বিপদের শেষ থাকবে না। আর যাদের বাড়িতে ডায়াবেটিক রোগী আছেন, তারা কিন্তু ডায়াবেটিস ফ্রেন্ডলি পিঠের রেসিপি জেনে নিতে পারেন। এতে সুবিধাই হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন