Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৫

স্পেস ডকিংয়ে ভারতের প্রথম পদক্ষেপ, বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে রেকর্ড ভারতের

 

PSLV-C-60-Rocket

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ভারত মহাকাশ জয়ের পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল। ইতিমধ্যেই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে ইসরোর পিএসএলভি-সি ৬০ রকেট সফলভাবে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। রাত ১০টা ৩৬ মিনিটে শুরু হওয়া এই মিশন ইসরোর জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা ভবিষ্যতের মহাকাশ স্টেশন নির্মাণ এবং চন্দ্রযান ৪-এর অভিযানের ভিত্তি স্থাপন করবে।


এই মিশনটি ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট’ নামে পরিচিত, যেখানে রকেটটি দু’টি বিশেষ মহাকাশযান নিয়ে পাড়ি দিয়েছে। প্রথমটি ‘স্পেডেক্স-১’ (চেজার) এবং দ্বিতীয়টি ‘স্পেডেক্স-২’ (টার্গেট)। এছাড়াও, ২৪টি পোলাড স্যাটেলাইট ছিল এই মিশনে। মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে চেজার তার রোবোটিক বাহুর সাহায্যে টার্গেটকে ধরবে, যা স্পেস ডকিং প্রযুক্তির জন্য এক যুগান্তকারী উদ্ভাবন।


আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের পর ভারত এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে মহাকাশ গবেষণায় চতুর্থ দেশ হিসেবে নাম লেখাল। ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, মহাকাশে ডকিং প্রযুক্তি শুধুমাত্র চন্দ্রযান ৪-এর সাফল্যের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের নিজস্ব আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নির্মাণেও বড় ভূমিকা রাখবে।


ইসরোর ডিরেক্টর জয়কুমার জানিয়েছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন তৈরি করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। এই স্পেস ডকিং পরীক্ষা সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ। চেজার এবং টার্গেট একে অপরকে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে নির্ভুলভাবে ধরে ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় মিলিত হবে।


এই মিশনের সাফল্য শুধু ভারতের মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে নয়, গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাসের নতুন উদাহরণ। স্পেস ডকিং প্রযুক্তি ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ ও জটিল মিশনের জন্য দরজা খুলে দেবে। এই সাফল্য ইসরোকে নিয়ে যাবে এক নতুন উচ্চতায়, যেখানে মহাকাশ গবেষণায় ভারতের নাম আরও গর্বের সঙ্গে উচ্চারিত হবে।‌‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন