সমকালীন প্রতিবেদন : রোহিত শর্মার ব্যাটিং ফর্ম নিয়ে সমালোচনা চলছিলই, এবার তা প্রভাব ফেলেছে তাঁর অধিনায়কত্বেও। দলের পরপর হার আরও চাপ বাড়াচ্ছে রোহিতের উপর। সিডনি টেস্টের পর তাঁর অবসর নেওয়ার গুঞ্জন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেট মহলে। যদি তা-ই হয়, তাহলে ভারতের পরবর্তী টেস্ট অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা।
এই দৌড়ে রয়েছেন তিনজন—জসপ্রীত বুমরাহ, ঋষভ পন্থ এবং লোকেশ রাহুল। তবে ভারতের পরবর্তী অধিনায়ক হওয়ার ক্ষেত্রে বুমরাহকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। তাঁর ফর্ম এবং মাঠে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতা তাঁকে এই তালিকায় সবার আগে রেখেছে। বিগত চার টেস্টে ৩০টি উইকেট নেওয়া বুমরাহ বোঝালেন, তিনি শুধু দুর্দান্ত বোলারই নন, দলের মনোবল বাড়াতেও তাঁর দক্ষতা আছে।
তবে বুমরাহর একটাই সমস্যা হতে পারে—তাঁর চোটপ্রবণতা এবং বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজন। নিয়মিত অধিনায়কত্বের চাপ তাঁর বোলিংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। তবে অতীতে কপিল দেব ও ইমরান খানের মতো পেসাররা সফল অধিনায়ক ছিলেন। তাই এই রেকর্ড দেখে তাঁকেও সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
এদিকে আবার ঋষভ পন্থকে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ভবিষ্যৎ অধিনায়ক হিসাবে দেখা হচ্ছিল। আইপিএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও জাতীয় দলে এখনও অধিনায়কত্বের সুযোগ পাননি তিনি। পন্থের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো তাঁর পরিণত মানসিকতা। টেস্টে ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতা এখনও সেভাবে দেখাতে পারেননি তিনি।
তাই নির্বাচকরা তাঁকে নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে দ্বিধায় থাকতে পারেন। তবে অভিজ্ঞতার বিচারে রাহুল অনেক এগিয়ে। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ১৬টি ম্যাচে ভারতের নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে ১১টি জয়ের রেকর্ড রয়েছে। টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও পরে দুটি ম্যাচ জিতেছেন। রাহুলের অন্যতম সমস্যা তাঁর চোটপ্রবণতা এবং ধারাবাহিকতা।
দলের সিনিয়র ক্রিকেটার হলেও প্রথম একাদশে তাঁর জায়গা সবসময় নিশ্চিত থাকে না। ফলে তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে ভাবতে কিছুটা দ্বিধা থাকতে পারে বোর্ডের। রোহিত শর্মার পর ভারতের টেস্ট অধিনায়ক কে হবেন, তা এখনই নিশ্চিত নয়। বুমরাহর ধারাবাহিকতা ও ফর্ম তাঁকে এগিয়ে রাখলেও, পন্থের আগ্রাসী মানসিকতা এবং রাহুলের অভিজ্ঞতা তাঁদেরও প্রতিযোগিতায় রাখছে। নির্বাচকরা কার উপর ভরসা রাখেন, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন