সমকালীন প্রতিবেদন : এবার কি করোনার চেয়েও মারাত্মক ভাইরাসের কবলে গোটা বিশ্ব? নতুন ভাইরাস এইচএমপিভি। প্রথমেই ঘায়েল ফুসফুস। ঠিক কি কি সিম্পটম? ফের মৃত্যুমিছিল? শুরুয়াত সেই চিন থেকেই! ভারতে কতটা এফেক্ট? প্যানিক করবেন না। সতর্ক হোন।
প্রথমে যা ঘটছে সেই ফ্যাক্টটা জানুন। চিনে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস সহ একাধিক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে ব্যাপকহারে। আক্রান্ত হচ্ছে মূলত শিশু ও কিশোররা। ফলে ফের হাসপাতালে ভিড় জমছে। ফুসফুসে হানা দিচ্ছে এই ভাইরাস। বাড়ছে নিউমোনিয়া। এই ভাইরাস নিয়ে নানারকম ভয়ের খবর ছড়ালেও কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি এখনও। যেটা আরও বেশি সাধারন মানুষকে কনফিউজ করছে।
কিছু ভাইরাল ভিডিও দেখা যাচ্ছে। বেসিক্যালি আতঙ্ক ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়া। ভাইরাল হয়েছে চিনের কয়েকটা হাসপাতালের ভিডিও। যদিও 'ই সমকালীন' সেইসব ভিডিওর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি। ওই ভিডিওগুলোতে দেখা গিয়েছে, কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় করছেন হাসপাতালগুলোতে।
সেই মুখে মাস্ক, আতঙ্কের আবহ। হাসপাতালে লম্বা লাইন। এইসব ভাইরাল ভিডিও কি আদৌ সত্যি ? তাহলে কি আবার অতিমারী আতঙ্ক গ্রাস করবে বিশ্বকে? আশঙ্কা বাড়ছে। ভুলে গেলে চলবে না, শীতে এমনিই ফুসফুসের সমস্যা, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বাড়ে। তাই এই ভাইরাসের দাপটও শীতে বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এই নিউমোনিয়া কেমন করে এতোটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পৌঁছাল তা খতিয়ে দেখে, খুব তাড়াতাড়ি রোগ প্রতিরোধ বিধি চালু করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। চিনের ন্যাশনাল ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাবের কারণ অনুসন্ধান করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সময়ের সাথে সাথেই পরিষ্কার হবে এই ভাইরাসের আরো অন্যান্য কি কি সিম্পটম রয়েছে, আদৌ এই ভাইরাসের আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হচ্ছে কিনা এবং এই ভাইরাস আদৌ ভারতে ছড়িয়ে পড়ার কোনো চান্স আছে কিনা। ভারতে এখনই এই বিষয় নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন