Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

আরজি কর কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড সঞ্জয় রায়ের

 

Life-imprisonment-in-RGKar-Case

সমকালীন প্রতিবেদন : আরজি কর কাণ্ডে আমৃত্যু কারাদণ্ড ধর্ষণ খু‌নে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের।  একইসঙ্গে নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের নির্দেশ রাজ্য সরকারকে। সিবিআই এবং নির্যাতিতার পরিবারের দাবি মেনে হল না সাজা। যে ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট এর দাবি করা হয়েছিল সেই মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো না সঞ্জয়কে। কারণ হিসেবে বিচারক অনির্বাণ দাস বললেন, "এটা রেয়ারেস্ট অফ রেয়ার ক্রাইম এটা নয়।"

অর্থাৎ বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা এটা নয় এমনই বলেছেন বিচারক অনির্বাণ দাস। জানা গেছে, এদিন আদালতের ২১০ নং রুমে প্রথমে সঞ্জয়ের পরিবার সম্পর্কে প্রশ্ন করেন বিচারক অনির্বাণ দাস। "কিছু বলার থাকলে বলুন" সঞ্জয় রায় কে বলেন বিচারক। তখনই সঞ্জয় বলেন "খুন ও ধর্ষণে জড়িত নই, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। যে যেখানে পারছে সই করিয়ে নিচ্ছে।"এদিন ফের আদালতে বলেন সঞ্জয়। 

বিচারক এও জানতে চান, মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ আছে? সঞ্জয় জানিয়ে দেন, "পুলিশ ব্যারাকে থাকতাম মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ নেই। এই ঘটনার পর কেউ আর যোগাযোগ করেওনি।" তবে এদিন সঞ্জয় যেমন বারবার বলেছে তাকে ফাঁসানো হয়েছে, ঠিক একইভাবে এদিন বিকল্প শাস্তির কথা বিবেচনা করুক আদালত। সাজা ঘোষণার আগে বিকল্প শাস্তির আবেদন করেন সঞ্জয়ের আইনজীবী। 

পাশাপাশি, সিবিআই এর পক্ষ থেকেও বিরল থেকে বিরলতম ঘটনা বলে মৃত্যুদণ্ডের পক্ষেই সাওয়াল করা হয়। সমাজের আস্থা বজায় রাখতে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক বলল সিবিআই। নির্যাতিতার পরিবারও চেয়েছিলেন মৃত্যুদণ্ড হোক। এদিকে, তথ্য প্রমানের ভিত্তিতেই সাজা হবে জানিয়েছিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তারপরেই দুপুর ২ টো ৪৫ এর পর শিয়ালদা আদালতের ২১০ নম্বর রুমে আরজি কর কাণ্ডে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সাজা শোনালেন বিচারক অনির্বাণ দাস। 

সব পক্ষের বক্তব্য শুনে সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা করে আদালত। এরপরই মৃত্যুদণ্ড নয়, আমি তো কারাদণ্ড শোনানো হয় সঞ্জয় রায়কে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ নম্বর ধারায় ধর্ষণ, ৬৬ নম্বর ধারায় মৃত্যু হতে পারে ধর্ষণের সময় এমন আঘাত, ও ১০৩(১) এ খুনের ধারায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। একইসঙ্গে দুটো ঘটনায় ১০ লক্ষ এবং ৭ লক্ষ সবমিলিয়ে মোট ১৭ লক্ষ টাকা রাজ্য সরকারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবারকে। 

এরপরই নির্যাতিতার পরিবার জানিয়ে দেন আমাদের ক্ষতিপূরণের দরকার নেই। বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, "আমি জানি আপনারা ক্ষতিপূরণের দাবি করেননি! কিন্তু এটা আইন অনুযায়ী করা হয়েছে। আপনারা সেই টাকা নিয়ে কি করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।"

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ১৬২ দিনের মাথায় শনিবার রায় দেয় শিয়ালদা আদালত। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস জানিয়েছিলেন, সোমবার সাজা ঘোষণা করবে আদালত। সেই মতো শনিবার সকাল থেকে গোটা দেশের নজর ছিল শিয়ালদা আদালতের দিকে। যদিও আরজিকর কান্ডে ধর্ষণ খুনে মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে যে সাজা শোনানো হয়েছে তাতে খুশি নয় কেউই। 

এই ঘটনাকে যে বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা বলে আখ্যা দিলেন না বিচারক অনির্বাণ দাস, এটা নিয়েই শুরু হয়েছে আপাতত বিতর্ক। চারিদিকে চলছে বিক্ষোভ। সিবিআই এর তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে বারংবার। এখন দেখার এরপর নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার ঠিক কি পদক্ষেপ করে।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন