Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২৫

‌মাটি কেটে দেশের বৃহত্তম মেট্রো স্টেশন কলকাতায়

Largest-metro-station

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌মাটির নিচে গ্র্যান্ড আয়োজন! মাটি কেটে দেশের বৃহত্তম মেট্রো স্টেশন তৈরি খোদ কলকাতার বুকে। ফোকাশ পয়েন্টে কলকাতা এয়ারপোর্ট। জটিল নকশা। কবে থেকে চালু যাত্রী পরিষেবা? গোটা এশিয়া মহাদেশেও মাটির নীচে এত বড় মেট্রো স্টেশন খুব অল্প! মহানগরীর মুকুটে জুড়লো নয়া পালক।

কলকাতা বিমানবন্দরে শুধু দেশের বৃহত্তম এই মেট্রো স্টেশন নয়, স্টেশন তৈরির পাশাপাশি ইয়ার্ডও তৈরি করা হচ্ছে। মাটির ১৪ মিটার নীচে হচ্ছে স্টেশন। থাকছে ৫ টি প্ল্যাটফর্ম। সম্পূর্ণ স্টেশন এলাকা ৩২০ মিটারের। ৬৩৩ মিটার এলাকা জুড়ে স্টেশন বিল্ডিং বানানোর কাজ চলছে। সঙ্গে দ্রুত চলছে বিমানবন্দরের স্টেশনের ইয়ার্ড বানানোর কাজ। এখানে থাকছে ৫টি লাইন। স্টেশনের মধ্যে থাকছে একটা ক্রস প্যাসেজ। স্টেশনের একদিকে যশোর রোড, অন্যদিকে কলকাতা বিমানবন্দর। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই বিমানবন্দরের সঙ্গে কলকাতার মধ্যে থাকা চক্ররেলকে যুক্ত করা হয় এক সময়। ২০০৬ সালের ২৯ জুলাই বিমানবন্দর পর্যন্ত চক্ররেল পরিষেবা চালু হয়। দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে ওভারহেড লাইন বানানো হয়। সারাদিনে বেশ কয়েকটা ট্রেন চলাচল করত এই পথে। যদিও তেমনভাবে যাত্রী না হওয়ার কারণে শিয়ালদা থেকে দমদম বিমানবন্দর বা মাঝেরহাট থেকে দমদম বিমানবন্দর পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

পরবর্তী সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এই লাইনকে মেট্রো রেলের লাইন হিসেবে বদলে ফেলা হবে। তাতে বাধা দেয় এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া। তাদের তরফ থেকে জানানো হয়, মাটির ওপর দিয়ে লাইন গেলে নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই জানানো হয়, মাটির নীচে স্টেশন করতে হবে। নকশা-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জটিলতা চলতে থাকে। 

অবশেষে, ২০১৬ সালে কলকাতা বিমানবন্দর মেট্রো স্টেশনে কাজের সূচনা করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জংশন স্টেশন হবে এটি। নোয়াপাড়া থেকে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো রুটের অন্যতম স্টেশন। আবার, গড়িয়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো রেলের প্রান্তিক স্টেশন হবে এটি৷ যেহেতু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মেট্রো স্টেশন তাই প্রচুর যাত্রী হবে এটা ধরে নেওয়াই হচ্ছে। 

এই মেট্রো প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের শেষে। ২০২০ সালে তিন মাস কাজ বন্ধ হয়ে যায় লকডাউনের জন্য। অবশেষে সেই কাজের একটা গোটা অংশ শেষ হয়ে গেছে। এমনকি প্রথমবার পুরোদমে নোয়াপাড়া-বিমানবন্দর মেট্রোর ট্রায়াল রানও কমপ্লিট। সফল‌ ট্রায়াল রানের পর এই ৭.০৪ কিলোমিটার অংশের মধ্যেই প্রাথমিকভাবে বাণিজ্যিক পরিষেবা চালু করতে চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। 

পাশাপাশি, খতিয়ে দেখা হয়েছে বিভিন্ন পরিকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা। নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দরের মধ্যে মোট চারটি স্টেশন আছে - নোয়াপাড়া, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং জয় হিন্দ বা বিমানবন্দর স্টেশন। আপাতত এশিয়ার অন্যতম বড় আন্ডারগ্রাউন্ড জয় হিন্দ মেট্রো স্টেশন নিয়েই কলকাতার মানুষের উন্মাদনা তুঙ্গে।‌‌ 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন