সমকালীন প্রতিবেদন : হাতে আর কয়েকমাস। তারপরই শুরু হচ্ছে আইপিএল ২০২৫। মরশুমের আগে ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে মেগা নিলাম। যেখানে নতুনভাবে দল সাজিয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। মরশুমের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সও দলে একাধিক পরিবর্তন ঘটিয়েছে। নাইট শিবিরে কিছু নতুন খেলোয়াড়কেও দেখা যাচ্ছে। যদিও, আসন্ন মরশুমে এই দলের কিছু খেলোয়াড় হয়তো খেলার সুযোগ নাও পেতে পারেন।
সুযোগ না পাওয়ার তালিকায় প্রথমেই থাকতে পারে মনীশ পাণ্ডের নাম। ফের দলে ফিরলেও প্লেয়িং ইলেভেনে তাঁর ফেরা খুবই কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি সৈয়দ মুস্তাক আলী ট্রফিতে কর্ণাটকের হয়ে বিশেষ কিছু করতে পারেননি মনীশ। এদিকে, কর্ণাটক দলও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তাঁকে বাদ দিয়েছেন। কেকেআর সম্ভবত তাঁকে ব্যাকআপ ব্যাটার হিসেবে দলে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অর্থাৎ, যদি কোনও খেলোয়াড় চোট না পান বা বড় কোনও প্রয়োজন না থাকে, সেক্ষেত্রে পুরো মরশুম জুড়ে পাণ্ডে হয়তো কেকেআর-এর হয়ে একটিও ম্যাচ খেলতে নাও পারেন। এছাড়া, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি অলরাউন্ডার মইন আলি এবার কেকেআর-এর সাথে যুক্ত হয়েছেন। তবে, তাঁকেও ব্যাকআপ হিসেবে বেঞ্চে বসে থাকতে দেখা যেতে পারে।
আসলে কলকাতা নাইট রাইডার্স বরুণ চক্রবর্তী এবং সুনীল নারিনকে প্রধান দুই স্পিনার হিসেবে মাঠে নামাতে পারে। চার বিদেশি খেলোয়াড়ের মধ্যেও মইনকে কোনও ফর্মেই ফিট মনে হচ্ছে না। কেকেআর-কে তৃতীয় স্পিনারকে মাঠে নামাতে হলেও মায়াঙ্ক মার্কন্ডের মতো ভারতীয় বোলার রয়েছে। তাই কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি খেলোয়াড় ইনজুরির সম্মুখীন হলে বা ফর্মের বাইরে থাকলে, সেক্ষেত্রে মইন হয়তো সুযোগ পেতে পারেন।
এদিকে আবার বাঁহাতি স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অনুকুল রায় ২০১৯ সাল থেকে আইপিএল খেলছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি মাত্র ১০ টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছেন। ২০২২ সালে কেকেআর-এর অংশ হওয়ার পর থেকে, অনুকুল এখনও পর্যন্ত মাত্র ৯ টি ম্যাচ খেলেছেন। আসলে, দলে বিকল্প ফিল্ডার হিসেবে তাঁকে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। এই মরশুমেও তেমনটাই হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন