সমকালীন প্রতিবেদন : পুলিশের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে অবশেষে মৃত্যু হল পুলিশ হেফাজত থেকে পালানো বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাদ আলম। বাংলাদেশে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকায় পুলিশ সাজ্জাককে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, গত বুধবার উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আদালত থেকে জেলে ফেরার সময় গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়ায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে বাস থামিয়ে, গুলি চালিয়ে দুই পুলিশকর্মীকে আহত করে পালায় খুন ও ডাকাতির মামলায় বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাক আলম। সি সি ক্যামেরায় ধরা পড়ে তার চম্পট দেওয়ার ছবি।
ঘটনার দিন সাজ্জাক আলম এবং আব্দুল হোসেন নামে দুই বিচিরাধীন বন্দি পুলিশকে লক্ষ্য করে পুলি চালিয়ে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ২ পলাতক বন্দির সন্ধান পেতে ছবি দিয়ে ২ লক্ষ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করে পুলিশ। পুলিশ জানায়, কোর্ট লক আপে বন্দির হাতে আগ্নেয়াস্ত্র পৌঁছে দেয় অনুুপ্রবেশ মামলায় জেলখাটা বাংলাদেশের নাগরিক আব্দুল হোসেন।
এই ঘটনার পর শনিবার সকালে গোয়ালপোখর এলাকায় বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় পুলিশের মুখোমুখি হয় সাজ্জাদ। আগে থেকেই পুলিশের কাছে একটি সূত্র মারফত তার অবস্থানের কথা জানতে পারে পুলিশ। আর সেই অনুযায়ী সেখানে পৌঁছায় রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকদের নেতৃত্বে একটি বিশেষ বাহিনী।
গোয়ালপোখরে যে জায়গায় এদিন পুলিশের সাথে সাজ্জাদের গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে, সেখান থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। ফলে, সীমান্ত পেরিয়ে আসামি সাজ্জাদ বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উঠে এসেছিল। আর তাই তাকে ধরতে আগে থেকেই সেখানে উপস্থিত হয় পুলিশের দলটি।
পুলিশের দাবি অনুযায়ী, একসময় পুলিশের মুখোমুখি হয় সাজ্জাদ। আর তখনই পুলিশকে লক্ষ্য করে পুলিশ চালায় সাজ্জাদ। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ। আর তাতে সাজ্জাদের গায়ে ৩টি গুলি লাগে। আহত সাজ্জাদকে এরপর স্থানীয় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তাকে আর বাঁচানো যায় নি। বুধবার পালানোর সময় যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সে গুলি চালিয়েছিল, এদিন তার কাছ থেকে সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন