সমকালীন প্রতিবেদন : এপার বাংলার ভূমিপুত্র কাজী নজরুল ইসলামকে অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিল বাংলাদেশ। অবিভক্ত ভারতের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়ায় তাঁর জন্ম। বর্তমানে তা পশ্চিম বর্ধমান জেলা। এপার বাংলার সেই ভূমিপুত্র বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে এবার বাংলাদেশ দিল জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। শেষমেশ এল ঢাকার তরফে কবি নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা।
উল্লেখ্য, কাজী নজরুল ইসলামের ১৯৭২ সালের মে মাসে তাঁর ঢাকায় পা রাখার সময় ধরে তাঁকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনুস সরকার। ইউনুস সরকারের সাংস্কৃতিক মন্ত্রকের সচিব মহম্মদ আতাউর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় অনুমোদিত প্রস্তাব অনুযায়ী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি ঘোষণা করা হয়েছে।
আর তা সকলকে জানানোর জন্য গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। জীবনের শেষ সময়টা বাংলাদেশে কাটিয়েছেন কাজী নজরুল। ১৯৭২ সালের মে মাসে কলকাতা থেকে তিনি বাংলাদেশে যান। বাংলাদেশে যাওয়ার পর ঢাকার ধানমন্ডিতে থাকতে শুরু করেন কবি। মৃত্যুর কয়েক মাস আগে তাঁকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেয় সে দেশের সরকার।
১৯৭৬ সালে ২৯ অগস্ট ঢাকায় প্রয়াত হন কবি। ততদিন পর্যন্ত জাতীয় কবি হিসেবে বাংলাদেশের স্বীকৃতি পাননি কাজী নজরুল ইসলাম। জানিয়ে রাখি, কাজি নজরুলকে জাতীয় কবি হিসাবে অতীতে বিভিন্ন সময়ে সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্বোধন করা হয়েছে বাংলাদেশে। তবে সরকারি ভাবে জাতীয় কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি এত দিন। তাঁকে জাতীয় কবি হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিও দীর্ঘদিন ধরে উঠছে বাংলাদেশে।
২০২২ সালে এ নিয়ে বাংলাদেশের আদালতে মামলাও হয়। আবেদন ছিল, কাজি নজরুলকে জাতীয় কবি হিসাবে ঘোষণা করে গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হোক। তবে বিবিধ কারণে সে বিষয়টা এতদিন হয়ে ওঠেনি। অবশেষে কাজী নজরুলকে জাতীয় কবি হিসাবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হল বাংলাদেশে, কিন্তু সেটা হল তাঁর প্রয়াণের বহু দশক পর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন