সমকালীন প্রতিবেদন : আবাস যোজনায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ব্লক অফিসের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম সঞ্জয় বসু। বাড়ি বনগাঁ থানার বসাকপাড়া এলাকায়। তিনি বনগাঁ ব্লক অফিসের কর্মী। এই ঘটনায় এপর্যন্ত দুজন সরকারি কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হলো।
উল্লেখ্য, রাজ্যের দরিদ্র মানুষদের জন্য রাজ্য সরকার 'বাংলার বাড়ি' নামে একটি আবাস যোজনা প্রকল্প চালু করেছে। অভিযোগ, এই প্রকল্পের অপব্যবহার করা হচ্ছে। যারা এই প্রকল্পের প্রকৃত প্রাপক, তাদেরকে বঞ্চিত করে অন্যদেরকে এই প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ তোলা হচ্ছিল।
আর এবার খোদ বিডিও এই অভিযোগ এনেছেন। গত ১৬ জানুয়ারী পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়। বনগাঁ বিডিও অফিসেরই দুই সরকারি কর্মচারী সঞ্জয় বসু এবং বিশ্বজিৎ মিত্রর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের হয়। তাঁরা বনগাঁ বিডিও অফিসের কর্মী। আর তাঁদের বিরুদ্ধে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বনগাঁর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ।
বিডিও তাঁর অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, 'বাংলার বাড়ি' প্রকল্পে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করে অন্যদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকানো হয়েছে। অভিযোগপত্রে দুটি উদাহরণও দেওয়া হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, জয়া বিশ্বাস নামে যে প্রাপকের অ্যাকাউন্টে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকার কথা, তার জায়গায় রাজকুমার বিশ্বাস নামে আর একজনের অ্যাকাউন্টে সেই টাকা ঢুকেছে।
একইভাবে রামপ্রসাদ সরকার নামে এক প্রকৃত প্রাপকের বদলে রামপ্রসাদ সিংহ নামে আর একজনের অ্যাকাউন্টে প্রকল্পের টাকা ঢুকেছে। অভিযোগপত্রে অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে সেই টাকা ফেরতেরও ব্যবস্থা করা হয়। তবে যাদের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে, সেইসব সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থাগ্রহনের আবেদন জানান বিডিও।
অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্বজিৎ মিত্র নামে অভিযুক্ত এক সরকারি কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সোমবার রাতে হুগলি থেকে সঞ্জয় বসুকে গ্রেপ্তার করে আনে গোপালনগর থানার পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তিনি হুগলিতে গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন