Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫

শীতে সর্দি, কাশি, জ্বর‌কে দূরে রাখতে পাঁচ খাবার

 ‌

Five-foods-in-winter

সমকালীন প্রতিবেদন : পাঁচটা খাবারেই হবে কিস্তিমাত। শীতের জ্বর সর্দি কাশি হাঁচি, এসব থাকবে শত হস্ত দূরে। শরীরের ইমিউনিটি পাওয়ার বুস্ট আপ করুন। খাদ্য তালিকায় কয়েকটা জিনিস অ্যাড করুন। এইচএমপিভি ভাইরাসও থাকবে দূরে। 

জ্বর, সর্দি, কাশি তো আছেই। সঙ্গে নাক চোখ থেকে জল পড়া, উপরি পাওনা। কিন্তু শরীরে যদি স্ট্রং ইমিউনিটি পাওয়ার থাকে, তাহলে এগুলো নিয়ে আপনাকে শীতে ভাবতে হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন দু থেকে তিনটি আমন্ড খান। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। আমন্ড আপনার ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করবে। এছাড়াও, শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় গরম রাখবে শরীর। ফলে দৈহিক তাপমাত্রা বজায় থাকবে সঠিকভাবে।

আরেকটা জিনিস দুর্দান্ত কার্যকরী। শীতকালে নিয়মিত মধু খেলে ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়বে। গরম থাকবে শরীর। সহজে সর্দি, হাঁচি-কাশির সমস্যায় ভুগবেন না আপনি। তবে নিয়মিত মধু খেলে অল্প পরিমাণে খেতে হবে। নাহলে দেখা দেবে পেটের সমস্যা। আর মনে রাখবেন, এক বছরের কম বয়সীদের একেবারেই মধু খাওয়াবেন না।

নেক্সট, পাতিলেবু। শীতের মরশুমে পাতিলেবু খেতে হবে রোজ। লেবুর রসে রয়েছে ভিটামিন সি, যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণভাবে সাহায্য করে। এবার আপনার প্রশ্ন হতে পারে, কিভাবে খেতে হবে? ভাতের পাতে লেবু খেতে পারেন। চায়ে মিশিয়েও নিতে পারেন লেবুর রস। এছাড়াও, হাল্কা গরম জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে রোজ সকালে খালি পেটে খেতে পারলে ইমিউনিটি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝরবে মেদও।

হ্যাঁ আদাও কিন্তু দারুণ ইমিউনিটি বুস্টার। সঙ্গে আদা খুব তাড়াতাড়ি বদহজমের সমস্যা দূর করে। কমায় গ্যাস, অ্যাসিডিটি, পেট ফেঁপে যাওয়ার মতো সমস্যাও। তাই, হাল্কা গরম জলে আদার রস মিশিয়ে খেতে পারেন খালি পেটে। এছাড়াও, শীতের দিনে আদা দিয়ে চা করে খেলে গলা ব্যথায় আরাম পাবেন। তার সঙ্গে বাড়বে ইমিউনিটিও।

হলুদও খুব উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইমিউনিটি বাড়ায়। তাই সারা বছরই খেতে পারেন কাঁচা হলুদ। শীতের দিনে রাতে ঘুমনোর আগে হাল্কা গরম দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেয়ে নিন। রাতে ভাল ঘুমও হবে। এছাড়াও, সকালে হাল্কা গরম জলে হলুদ মিশিয়ে খালি পেটে খেলে বদহজম, অ্যাসিডিটি, গ্যাসের সমস্যা দূর হবে অল্প কয়েকদিনেই।

এগুলো ছাড়াও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার যেমন কমলালেবু, পেয়ারা, আঙুর এগুলোর পাশাপাশি গ্রিন টি খান। যেসব মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আছে, সেগুলো খাওয়ার চেষ্টা করুন। শুধু শীতকালীন জ্বর, সর্দি, কাশি নয়, দূরে থাকবে এইচএমপি ভাইরাসও।‌‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন