সমকালীন প্রতিবেদন : হিন্দুদের পক্ষে সরব হয়ে বাংলাদেশের জেলে বন্দি সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির অপেক্ষা যেন আরও দীর্ঘমেয়াদী হলো। আজ চট্টগ্রাম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন দেশের বিভিন্ন মহল। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২৫ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল মহম্মদ ইউনূসের পুলিশ। সেই থেকে জেলেই কাটছে তাঁর দিন।
আজকের শুনানি নিয়ে আশা ছিল যে, নতুন বছরে মুক্তি মিলবে তাঁর। কিন্তু আদালতের রায় সেই প্রত্যাশায় জল ঢেলে দিল, ইসকন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস বললেন, 'খুবই দুর্ভাগ্যজনক। আমেরিকা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদরা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির আশা করেছিলেন। কিন্তু জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় আমরা অত্যন্ত হতাশ। একটাই ইতিবাচক দিক হলো, আইনজীবীরা শান্তিপূর্ণভাবে শুনানিতে অংশগ্রহণ করতে পেরেছেন।'
চট্টগ্রাম আদালতে আজ হাজির ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য এবং আরও ১০ জনের একটি শক্তিশালী টিম। তবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে সাজা যাবজ্জীবন হতে পারে জানিয়ে আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে। আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য বলেন, 'আজ শান্তিপূর্ণ শুনানি হলেও রায় আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ফের আলোচনায় বসব।'
রাধারমণ দাস চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বললেন, 'সংবাদমাধ্যম সূত্রে আমরা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর খবর পাচ্ছি। আশা করেছিলাম আজ তাঁকে মুক্ত অবস্থায় দেখতে পাব। কিন্তু তা হলো না। এখন আমাদের আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।' বাংলাদেশের চট্টগ্রাম আদালতের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের মুক্তির দাবিতে সরব হয়ে উঠেছে আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি। জামিন না মেলায় এবার তাঁর আইনজীবী টিম আপিলের পথে হাঁটবেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এই দীর্ঘ লড়াই কতটা সময় নেবে, তা নিয়েই উদ্বেগ বাড়ছে সমর্থকদের মধ্যে। নতুন বছরের শুরুতেই এই রায় হতাশা বাড়ালেও, তাঁদের আশা শেষ হয়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন