সমকালীন প্রতিবেদন : দশ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার কাছে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে হারল ভারত। পাঁচ ম্যাচের সিরিজ ১-৩ ব্যবধানে হারলেন রোহিত শর্মারা। রবিবার পঞ্চম টেস্টে সিডনিতে ৬ উইকেটে হেরে যায় ভারত। এই পরাজয় কেবল টেস্ট সিরিজ নয়, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াল। কেন এই ব্যর্থতা?
প্রথমত বলা যায়, ব্যাটিং ব্যর্থতায় ডুবল ভারত। গোটা সিরিজে ভারতীয় ব্যাটারদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্স সিরিজ হারের মূল কারণ। পার্থে জিতলেও প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৫০ রান করেছিল দল। পুরো সিরিজে একমাত্র যশস্বী জয়সওয়াল ৩৯১ রান ও নীতীশ কুমার রেড্ডি ২৯৮ রান পান। সিনিয়র ব্যাটারদের মধ্যে বিরাট কোহলি ১৯০ রান এবং রোহিত শর্মা মাত্র ৩১ রান করেন।
এর পাশাপাশি ঋষভ পন্থের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংও গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভারতের পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়াও, শামির অভাবের প্রভাব পড়েছে দলের পারফরম্যান্স-এ। মহম্মদ শামি চোটের কারণে সিরিজে খেলতে পারেননি। তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতের পেস আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে। জসপ্রীত বুমরাহ একাই লড়াই করে ৩২ উইকেট নিলেও, বাকি পেসাররা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি।
মহম্মদ সিরাজ ২০ উইকেট নিলেও গড় ছিল ৩১.১৫। তৃতীয় পেসার হিসেবে আকাশদীপ, হর্ষিত রানা এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ যথাক্রমে ৫, ৪ এবং ৩ উইকেট পান। শামির অভাব প্রতিটি ম্যাচেই অনুভূত হয়েছে। তবে রোহিতের নেতৃত্বে প্রশ্নচিহ্ন উঠেই গিয়েছে। তাই অনেকেই মনে করছেন, রোহিত শর্মার রক্ষণাত্মক নেতৃত্ব এবং ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা ভারতের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ।
এছাড়াও, কোহলির অফ-স্টাম্প দুর্বলতা। বিরাট কোহলি পার্থে শতরান করলেও পুরো সিরিজে অফ-স্টাম্পের বাইরে বল সামলাতে সমস্যায় পড়েন। পাঁচ ম্যাচে ১৯০ রান করে ব্যর্থ হন দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ব্যাটার। তাঁর ব্যর্থতায় মিডল অর্ডার ভেঙে পড়ে। এই হার শুধুমাত্র একটি সিরিজের নয়, বরং দলগত সমস্যাগুলোর প্রতিফলন। ভবিষ্যতে এই শিক্ষা নিয়ে দলকে নতুন করে তৈরি হতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন