সমকালীন প্রতিবেদন : দীর্ঘ ১০ বছর পর আইপিএল ট্রফি ফিরেছে শাহরুখ খান-জুহি চাওলাদের শিবিরে। ২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বে। পরের আইপিএলে খেতাব ধরে রাখার লড়াই কেকেআরের সামনে। যদিও নতুন করে দল গড়েছে কেকেআর। ছেড়ে দিয়েছে ট্রফি জয়ী অধিনায়ক শ্রেয়সকে।
পাশাপাশি ধরে রেখেছে আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনদের মতো তারকাদের। নিলাম থেকে রেকর্ড দামে বেঙ্কটেশ আইয়ারকে কিনেছে কেকেআর। ট্রফি ধরে রাখার জন্য যে তিন অলরাউন্ডারের দিকে তাকিয়ে থাকবে নাইট শিবির, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক। নাইট শিবিরের সবথেকে বড় ভরসা হলেন সুনীল নারিন।
কেকেআরের সাফল্যের অন্যতম কারিগর তিনি। গত আইপিএলে শুধু বল হাতে পুরনো ছন্দেই ছিলেন না, ব্যাট হাতেও রেখেছিলেন উল্লেখযোগ্য অবদান। গৌতম গম্ভীর মেন্টর হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই ওপেনারের ভূমিকায় ফিরিয়ে এনেছিলেন নারিনকে। আর ব্যাট হাতে ফের প্রলয়লীলা চালিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান তারকা। ১৮০.৭৪ স্ট্রাইক রেট রেখে ৪৮৮ রান করেছিলেন নারাইন।
পাশাপাশি বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিয়েছিলেন। ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ওভার প্রতি মাত্র ৬.৬৯ রান খরচ করে। যা টি-২০ ক্রিকেটে বেশ ঈর্ষণীয়। একা হাতে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। ২০২৫ সালের আইপিএলেও কেকেআরের তুরুপের তাস হতে চলেছেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
পরের জন হলেন আন্দ্রে রাসেল। আন্দ্রে রাসেল যে দলের কতটা বড় স্তম্ভ, তা ফের প্রমাণ করে দিয়েছে কেকেআর। ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডারকে ধরে রেখেছে শাহরুখ-জুহির দল। পরের আইপিএলেও কেকেআরের অন্যতম বড় অস্ত্র হতে চলেছেন রাসেল। বিস্ফোরক ব্যাটার। সঙ্গে বল হাতেও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারদর্শী।
তালিকায় তৃতীয় জন হলেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার। ২০২৫ সালের আইপিএলে কেকেআরের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার তিনি। মধ্যপ্রদেশের বেঙ্কটেশ আইয়ারকে ২৩ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দামে কিনেছে কেকেআর। গত আইপিএলে বল হাতে কোনও উইকেট নিতে পারেননি। তবে ব্যাট হাতে ছিলেন ভয়ঙ্কর ফর্মে। ১৫ ম্যাচে করেছিলেন ৩৭০ রান। এবারও তিনি কেকেআরের ব্রহ্মাস্ত্র।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন