সমকালীন প্রতিবেদন : আন্ত:রাজ্য ট্রাক পাচার চক্রের সন্ধান পেল বনগাঁ থানার পুলিশ। বনগাঁর ট্রাক নানা হাত বদল হয়ে ভিন রাজ্যের ভুয়ো নম্বর প্লেট লাগিয়ে চলছিল রাস্তায়। অবশেষে সেই গাড়ির সন্ধান মিললো। গ্রেপ্তার করা হলো ট্রাক পাচার রক্রের এক পান্ডাকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আর্থিক সমস্যার কারণে ট্রাকের কিস্তির টাকা ঠিকমতো দিতে পারছিলেন না বনগাঁর এক পরিবহন ব্যবসায়ী চিন্ময় মল্লিক। এই অবস্থায় তিনি শর্তসাপেক্ষে নিজের গাড়িটি খড়দহের প্রসেনজিৎ ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করেন।
কোর্ট পেপারে শর্ত দেওয়া হয় যে, ওই ব্যক্তি নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করবেন। ওই ব্যক্তির উপর বিশ্বাস করে নিজের গাড়িটি তার হাতে ছেড়ে দেন চিন্ময় মল্লিক। কয়েক মাস পর তিনি কোম্পানী মারফত জানতে পারেন যে, তাঁর গাড়ির কিস্তির টাকা জমা হচ্ছে না।
এই অবস্থায় তিনি প্রসেনজিৎ ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারেন নি। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন যে, তাঁর সেই গাড়িটিতে ঝাড়খন্ড রাজ্যের নম্বর প্লেট লাগিয়ে ট্রাকটি এই রাজ্যের অন্যত্র চলাচল করছে।
এই ঘটনার পেছনে বড় চক্র আছে বলে সন্দেহ হওয়ায় গত সেপ্টেম্বর মাসে তিনি বনগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ শুক্রবার রাতে বর্ধমান থেকে অরবিন্দ মাহাতো নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁ থানার পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, অরবিন্দ সহ বেশ কয়েকজন আন্ত:রাজ্য ট্রাক পাচারের সঙ্গে যুক্ত। এরা বিভিন্ন জায়গা থেকে চোরাই ট্রাক কিনে তার নম্বর প্লেট বদলে সেই ট্রাকের ভুয়ো কাগজ বের করে তা আবার বিক্রি করে দেয়।
বনগাঁর চিন্ময় মল্লিকের গাড়িটিও সেইভাবে বিভিন্ন হাত ঘুরে নম্বর প্লেট বদলে রাস্তায় চলছিল। ধৃত অরবিন্দকে শনিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। তাকে জেরা করে এই চক্রের বাকিদের সন্ধান পাওয়ার উদ্দেশ্যে পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে চাওয়ার আবেদন করে। বিচারক সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে তাকে ৫ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন