সমকালীন প্রতিবেদন : লিমিট ছাড়াচ্ছে বাংলাদেশ! ভারত দিল ওয়ার্নিং! শেষে কিনা পশ্চিমবঙ্গ দখল? চীনের ডিটো কপি! মুখ সামলে! ভারত এবার অ্যাকশন নেওয়ার মুডে? ভারতের আর কোন কোন রাজ্য টার্গেটে বাংলাদেশের?
চীন বহুবার ভারতের অরুণাচল প্রদেশকে নিজেদের বলে দাবি করেছে মানচিত্রে। বাংলাদেশ আলাদা কিছু করল কি? বাংলা হয়ে গেল বাংলাদেশের? মাহফুজ আলমের পোস্ট ঘিরে বিতর্কের পারদ চড়লো। মৌলবাদী, বিএনপি নেতা, বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্তাকে পেছনে ফেলে এবার এক ধাপ এগিয়ে ইউনুস ঘনিষ্ঠ মাহফুজ আলম দেখিয়ে দিলেন নিজেদের আসল চেহারা!
ঠিক কি পোস্ট করেছিলেন তিনি? ভারত দেখল বাংলাদেশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা! কারণ, বাংলাদেশের মানচিত্র বলে দাবি করে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করেন মাহফুজ। সেই মানচিত্রে ভারতের বেশ কিছুটা অংশকেও দেখানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরাকে সেখানে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বারবার পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন বাংলাদেশ থেকে?
কখনো বাংলাদেশের মৌলবাদীরা বলছেন, তারা ইন্ডিয়ার কলকাতা, আগরতলা, সেভেন সিস্টার্স দখল করবে, কখনো বিএনপি নেতা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে উড়িষ্যা, বিহার সবটাই দখল করে নেওয়া হবে, কখনো বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রাক্তন সদস্য কলকাতা দখলের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। আর এবার এক ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাই বলছেন, পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা সবটাই নাকি বাংলাদেশের।
উপদেষ্টা মাহফুজ আলম! কে তিনি? কি তাঁর আসল পরিচয়? বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা মাহফুজের সঙ্গে ইউনুসের ঘনিষ্ঠতার কথা সবার জানা। এমনকি বাংলাদেশে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য যে আন্দোলন চলেছিল, তারও অন্যতম হোতা এই মাহফুজ আলম। এবার সে–ই ভারতের টার্গেটে।
ভারত শান্তিপ্রিয় দেশ। কিন্তু তার মানে এই নয়, ভারতের মানচিত্রকে কেউ নিজেদের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিলে সেটা ভারত চুপ করে বসে দেখবে। চীনকেও জবাব দিতে ছাড়েনি ভারত কখনো। সেখানে বাংলাদেশ! আর এবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের সরকারকে দিলেন স্পষ্ট বার্তা। কড়া ভাষায় জানালেন প্রতিবাদ।
রণধীর জয়সওয়াল, বলেছেন বাংলাদেশের নেতারা প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করার আগে ভেবেচিন্তে করবেন। ভারত যখন বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী, তখন এই ধরনের পোস্ট বাংলাদেশের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দেয়। যদিও মাহফুজ পরে পোস্টটা মুছে দেন। কিন্তু তাতে তো ছবিটা আর বদলে গেল না।
ভারত–বাংলাদেশের মাঝে দূরত্ব যত কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে নয়াদিল্লির তরফে, ততই যেন বাংলাদেশ উস্কানিমূলক মন্তব্য করে দুটো দেশের মাঝের ফাটলকে চওড়া করছে। বারবার বাংলাকে টার্গেট করে দখলের কথা বলা হচ্ছে। আবার কখনো পশ্চিমবঙ্গকে নিজেদের বলে দাবি করা হচ্ছে। এই গোটা বিষয়টা দেখে শুনে বিশেষজ্ঞদের একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, বারংবার ভারতকে টার্গেট করে বাংলাদেশ ঠিক কি প্রমাণ করতে চাইছে? বাংলাদেশের মোটিভটা ঠিক কি? প্রশ্ন অনেক, উত্তর অধরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন