সমকালীন প্রতিবেদন : হঠাৎ করেই শিরোনামে উঠে এসেছে টিম ইন্ডিয়ার এক বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম। তাঁর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। দেশের যে প্রাক্তন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, তিনি রবীন উথাপ্পা। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।
নিজের কোম্পানির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়েই নাকি নয়ছয় করেছেন উথাপ্পা। বিশ্বজয়ী ভারতীয় তারকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এমনটাই। কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রাক্তন ক্রিকেটার রবীন উথাপ্পা ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসায় হাত পাকিয়েছেন।
বেঙ্গালুরু সেঞ্চুরি লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি চালু করেছিলেন তিনি। সেখানে একাধিক কর্মী কাজ করেন। এবার উথাপ্পার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, নিজের কোম্পানির কর্মীদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য যে টাকা কাটা হয়, তা সঠিক জায়গায় জমা হয়নি। মোট ২৩ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
উথাপ্পার বিরুদ্ধে এই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত শুরু করেন রিজিওনাল পিএফ কমিশনার। সম্প্রতি রবিন উথাপ্পার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গ্রেফতারি পরোয়ানাতে যে ঠিকানা রয়েছে, সেখানে এক বছর ধরে থাকেন না উথাপ্পা। তিনি বর্তমানে দুবাইতে বসবাস করেন।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, প্রভিডেন্ট ফান্ডের জন্য কর্মচারীদের বেতন থেকে টাকা কেটে নিলেও, সেই টাকা নির্দিষ্ট খাতে জমা না দেওয়ার। ঘটনা নিয়ে রবিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন উথাপ্পা। তিনি বলেন, 'পিএফ মামলার সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে এবং স্ট্রবেরি লেন্সেরিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, সেন্টোরাস লাইফস্টাইল ব্র্যান্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, বেরিজ ফ্যাশন হাউসের সঙ্গে আমার জড়িত থাকা নিয়ে আমার অবস্থান স্পষ্ট করতে চাই।'
উথাপ্পা বলেন, '২০১৮-১৯ সালে এই সংস্থাগুলিকে আমি ঋণ দিয়েছিলাম। সেটা বাবদ আমাকে ডিরেক্টর পদ দেওয়া হয়েছিল। তবে আমি সেখানে কোনও সক্রিয় ভূমিকা পালন করিনি এবং ব্যবসার প্রতিদিনের কার্যকলাপের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না।' আপাতত উত্থাপ্পার হাতে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। যদি তার মধ্যে তিনি তাঁর কোম্পানির কর্মীদের বকেয়া অর্থ জমা না করেন, তা হলে তাঁকে গ্রেফতার করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন