সমকালীন প্রতিবেদন : বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে বাইশ গজের লড়াই চিরকালের। শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরে স্নায়ুযুদ্ধ চলে সাপোর্টারদের মধ্যে। অ্যাডিলেডে প্রথম দিনের শেষে প্রবল চাপে ভারত। ব্যাট হাতে যেমন বড় রান তুলতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া, তেমনই বল হাতেও সাফল্য এল না।
প্রথমে ব্যাট করে ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১৮০ রানে। ৬ উইকেট তোলেন মিচেল স্টার্ক। সেখানে প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার রান ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬। অজিরা এখনও পিছিয়ে আছে ৯৪ রানে। অ্যাডিলেডের এই মাঠেই ৩৬ অলআউটের কলঙ্ক রয়েছে ভারতের। এবার বর্ডার গাভাসকর ট্রফির পরিস্থিতি অবশ্য আলাদা।
পার্থ টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে আছে ভারত। দ্বিতীয় টেস্টেও কিন্তু পার্থের মতোই প্রথম ইনিংসে বড় রান করতে পারলেন না রোহিত-বিরাটরা। স্টার্কের আগুনে পেস-সুইংয়ে হার মানল ভারত। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ওপেন করতে নামেন যশস্বী জয়সওয়াল ও কেএল রাহুল।
কিন্তু প্রথম বলেই এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন যশস্বী। সেখান থেকে ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন রাহুল ও শুভমান গিল। আশা করা হচ্ছিল, দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় রান করবে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু স্টার্কের অতিরিক্ত বাউন্সে আউট হন রাহুল। মাত্র ৭ রানে ফিরে যান কোহলিও। ৮১ রানের মাথায় গিলেরও উইকেট হারায় ভারত।
রাহুলকে ওপেনিংয়ের জায়গা ছেড়ে ছয় নম্বরে নেমেছিলেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তাতেও ফর্মে ফেরা হল না। ৩ রান করে আউট হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের হাল ধরেন নীতীশ কুমার রেড্ডি। ২২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে যান অশ্বিন। শেষ পর্যন্ত ভারত থেমে যায় ১৮০ রানে।
জবাবে অস্ট্রেলিয়ার সামনে সেভাবে চাপ তৈরি করতে পারেননি ভারতীয় পেসাররা। সেই বুমরাহ ছাড়া দাগ কাটতে পারলেন না আর কেউই। যদিও তাঁর বলেই ম্যাকসুইনির ক্যাচ সহজ পড়ে। দিনের শেষে অজি ওপেনার অপরাজিত আছেন ৩৮ রানে। তবে উসমান খোয়াজাকে ফিরিয়ে দেন বুমরাহ।
এছাড়া, ফ্লাডলাইটের আলোয় সিরাজ, রানারা উইকেট পেলেন না। নীতীশ রেড্ডি, অশ্বিনকে নিয়ে এসেও খুব একটা কাজের কাজ হল না। প্রথম দিনের শেষে ম্যাকসুইনিকে ২০ রানে সঙ্গ দিচ্ছেন মার্নাস লাবুশেন। অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে আছে মাত্র ৯৪ রানে। এখন দেখার যে, এই টেস্টের অভিমুখ কোন দিকে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন