সমকালীন প্রতিবেদন : ফের পাশ–ফেল প্রথা ফিরছে। নীতি বদলে নতুন এই নীতির কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সোমবারই এ ব্যাপারে নতুন শিক্ষানীতির কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা সচিব। এই নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছর থেকে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ ফেল প্রথা ফিরে আসছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ফের দেশ জুড়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পাশ–ফেল প্রথা চালু করা হচ্ছে। বহু বছর আগে এই প্রথা চালু থাকলেও একসময় তা তুলে দেওয়া হয়। ফলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার গুরুত্বটা একপ্রকার ছিলই না বলা চলে।
দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতির কথা ভেবে একসময় এই পাশ–ফেল প্রথা তুলে নেওয়া হয়। যুক্তি ছিল, যে দেশের অনেকাংশের পড়ুয়াই দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসে। তাদের কাছে মিড ডে মিলের খাবার অত্যন্ত জরুরী। পাস–ফেল প্রথা চালু থাকলে অনেকেই একই ক্লাসে আটকে থাকলে তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল।
এবারে সেই পুরনো শিক্ষানীতির বদল ঘটিয়ে ফের পাশ–ফেল প্রথা চালু করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। পড়াশোনার মানোনয়নের উদ্দেশ্যেই এই পাশ–ফেল প্রথা নতুন করে চালু করার সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। পাশ–ফেল প্রথা তুলে নেওয়ার পর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল যে, পাশ–ফেল না থাকায় শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে।
নতুন শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে, প্রথমবার পরীক্ষায় পাশ করতে না পারলে তাকে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ দু মাসের মধ্যে তাকে ফের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীতে এই পাশ ফেল প্রথা লাগু হচ্ছে। দ্বিতীয়বারের পরীক্ষাতেও একজন পড়ুয়া পাস করতে না পারলে, তাকে সেই ক্লাসে রেখে দেওয়া হবে। তবে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হবে না।
যদিও এব্যাপারে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই রাজ্য সরকার শিক্ষার মান উন্নয়নে মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করেছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের আজকের এই ঘোষণায় নতুন কোন দিশা দেখা যাচ্ছে না। এদিনের কেন্দ্রের ঘোষিত নতুন শিক্ষানীতি রাজ্য সরকার কতটা কার্যকরী করে, সেটাই এখন দেখার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন