সমকালীন প্রতিবেদন : এবার কি বাংলা থেকে পাততাড়ি গোটাবে টোটো? জমানা শেষ? সাংঘাতিক কড়াকড়ি রাজ্যের! নতুন নিয়ম জানেন তো? টোটো চালকরা সাবধান। টোটো নিয়ে রাস্তায় বেরোনোর আগে কয়েকটা জিনিস মাস্ট জানা দরকার। রাজ্য সরকারের এই পলিসি কতটা ভারী পড়বে টোটো চালক বা মালিকদের জন্য?
রাজ্যের সব জেলা মিলিয়ে বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের জীবন-জীবিকা টোটোর সঙ্গে জড়িয়ে। যে টোটো নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নীতি প্রণয়নের আগে সমস্ত পুরসভা এবং পুলিশ- প্রশাসনের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে মূলত টোটোর জন্য নির্দিষ্ট রুট, চালকদের প্রশিক্ষণ এবং যাত্রী সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকেও নীতির আওতায় আনা হবে।
আসলে, মফস্বল এলাকাগুলোতে কর্মসংস্থানের একটা পথ এই টোটো। কিন্তু টোটোর চলাচল নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছিল পরিবহণ দফতরে। জাতীয় সড়কে তা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার একটা সুনির্দিষ্ট পলিসি তৈরি করতে চায়, যাতে টোটো চালকদেরও স্বার্থরক্ষা হয় এবং সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টাও নিশ্চিত করা যায়।
মোদ্দা কথা, রাজ্যে প্রায় সব জেলাতেই টোটোর সংখ্যা দিন দিন যেভাবে বাড়ছে, তাতে পরিবহণ দফতর মনে করছে, এখনই তাদের একটা নিয়মনীতির মধ্যে বাঁধা উচিত। তাতে একদিকে টোটো পরিষেবার রাশ যেমন দফতরের হাতে থাকবে, তেমনই সুষ্ঠু নীতি তৈরি হলে টোটোচালকদের আর সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না। কিন্তু প্রশ্ন হল নতুন নীতি কবে আসবে?
ইতিমধ্যেই যেটা জানা যাচ্ছে, টোটোচালকদের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতি তৈরির পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই এই নীতি প্রণয়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক। চালকদের লাইসেন্স এবং টোটোর রেজিস্ট্রেশন চালু করা হবে বলে জানা যাচ্ছে পরিবহণ দফতর সূত্রে।
সম্প্রতি ব্যারাকপুরের এক অনুষ্ঠানে গিয়ে টোটো সংক্রান্ত নীতি তৈরির কথা বলেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। আর তারপরেই এ বিষয়টা নিয়ে চারিদিকে হৈচৈ পড়ে যায়। এখানে আরো একটা ফ্যাক্টর আছে। রাজ্যের যত্রতত্র বেআইনিভাবে টোটো তৈরি হচ্ছে বলেও পরিবহণমন্ত্রীর কাছে একটা অভিযোগ জমা পড়েছিল।
জেলার বিভিন্ন লেদ কারখানায় অবৈধভাবে এই টোটো তৈরি হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল। সেই দিকটাও কিন্তু খতিয়ে দেখছে রাজ্য। জেলা প্রশাসনকে দিয়ে এরকম বেশ কয়েকটি কারখানা অলরেডি বন্ধ করানো হয়েছে বলে পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর। এক্ষেত্রে অনেকের মতে, এই সংক্রান্ত নীতি তৈরি হয়ে গেলে টোটো তৈরির জন্য পরিকাঠামোও তৈরি করার দায়িত্ব বর্তাবে রাজ্য সরকারের উপরে।
তাই নীতি প্রণয়নের পর টোটো তৈরির জন্য কারখানা কীভাবে করা যায়, তা নিয়েও ভাবতে হবে রাজ্য সরকারকে। এতে টোটো তৈরি থেকে শুরু করে রাস্তায় নামা পর্যন্ত পুরো দায়িত্বটাই থাকবে রাজ্যের কাঁধে। তাতে সুশৃংখলভাবে পুরো প্রসেসটা হবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধাও পাবেন টোটো চালক বা মালিকরা। কিভাবে? নীতি প্রণয়নের পরই পুরোটা পরিষ্কার হবে সবার কাছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন