Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশ্ব জুড়ে হু হু করে ছড়াচ্ছে জীবনঘাতী মারবার্গ ভাইরাস!

 

Marburg-virus

সমকালীন প্রতিবেদন : অ্যাটাক করলেই চোখ থেকে গলগলিয়ে রক্ত ঝরবে! আতঙ্কের নাম "ব্লিডিং আই"! ভাবছেন শুধু এটুকুই? না,  বাকি লক্ষণগুলিও জেনে রাখুন‌। এই ভাইরাসের প্রথম লক্ষণ জ্বর। তারপর ভাইরাসটা ধীরে ধীরে থাবা চওড়া করে, আর শরীরের ভেতরে রক্তক্ষরণ ঘটায়। 

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অভ্যন্তরীণ অঙ্গ ও রক্তনালী। আক্রান্তদের  চোখ, কান এবং মুখ থেকে রক্তপাত হতে শুরু করে। মহিলাদের যোনি থেকে রক্তক্ষরণ শুরু হতে পারে। শরীরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হলে জীবন পর্যন্ত চলে যেতে পারে। 

এছাড়াও এই ভাইরাস-অ্যাটাকের উপসর্গের মধ্যে রয়েছে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, পেটে ব্যাথা, পেশীতে ব্যথা, জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া, আলোর প্রতি সংবেদনশীলতা, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস, মানসিক অস্থিরতা এবং বমি। এই ভাইরাসের আক্রমণে এনসেফালাইটিসের মতো লক্ষণও দেখা যাচ্ছে। বিষয়টা প্রাণহানির কারণ হচ্ছে। যার ভয়ে মানুষ এভাবে সিঁটিয়ে যাচ্ছে, তার নাম মারবার্গ ভাইরাস।

একের পর এক দেশ এই ভাইরাসের কবলে চলে যাচ্ছে। একেবারে রকেট গতিতে হু হু করে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। সবথেকে টেনশন এর ব্যাপার হলো, মারবার্গ ভাইরাসের এখনও কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যায়নি। তাই খুব সতর্ক থাকার প্রয়োজন আছে। কিন্তু কিভাবে সতর্ক থাকবেন? জেনে নিন সেগুলি।

সংক্রমিত এলাকার হাসপাতালে চিকিৎসা করানো এড়িয়ে চলাই ভাল। সেখানে কারও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ না নেওয়া ভাল। এছাড়া, এই পরিস্থিতিতে বন্য প্রাণীর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। বাদুড় আছে, এমন জায়গায় যাবেন না। মশা থেকে বাঁচতে ফুল হাতা জামা পরতে পারলে ভাল। ব্যবহার করতে হবে মশা তাড়ানোর স্প্রে। বিদেশ ভ্রমণের আগে ও পরে, অবশ্যই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।

এই মারবার্গ ভাইরাসের চরিত্র দিন দিন ভয়ানক হয়ে উঠছে। আক্রান্ত হলে জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে বলে ইতিমধ্যেই ১৭টি দেশে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এক দুজন নয়, ইতিমধ্যেই ১৫ জনের প্রাণ গেছে বলে খবর। সেক্ষেত্রে জানা দরকার, ভারতের পরিস্থিতি কি? যে যে দেশে সর্তকতা জারি হয়েছে, সেই তালিকাটাও বেশ দীর্ঘ। 

এই তালিকায় রয়েছে আফ্রিকার রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, কঙ্গো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, গ্যাবন, কেনিয়া, উগান্ডার পাশাপাশি দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়া, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, কিউবা, ডমিনিকান রিপাবলিক, ‌ইকুয়েডর, গুয়েনা, পানামা এবং পেরু। এই দেশগুলিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে পর্যটকদের। 

তবে এই তালিকায় ভারতের নাম না থাকলেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা "হু" বলছে, এই প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়াচ্ছে বাদুড় থেকে। যে বাদুড় আমাদের চারিপাশেই উড়ে বেড়াচ্ছে। তবে এই নিয়ে ভুলেও আতঙ্কিত হবেন না। শুধু খেয়াল রাখবেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। তাই খুব সাবধান। ১৯৬১ সালে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রথমবার মারবার্গ ভাইরাস ছড়িয়েছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে বারবার এই ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত দেখা গেলেও এবারে এটা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।‌‌





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন