সমকালীন প্রতিবেদন : সময় থাকতে থাকতে সসম্মানে সরে না গেলে কী পরিণতি হয়, সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন মণীশ পান্ডে। কেকেআরের অভিজ্ঞ ব্যাটারকে তাঁর রাজ্য দলের নির্বাচকরা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অনেক হয়েছে, এবার নতুনদের জায়গা ছাড়তে হবে। রঞ্জি ট্রফির মাঝপথেই ঘরোয়া ক্রিকেটের দরজা বন্ধ হয়ে গেল মণীশের সামনে।
যদি না কর্ণাটক ছেড়ে অন্য কোনও রাজ্যের হয়ে মাঠে নামেন, তবে রঞ্জি, বিজয় হাজারে ও সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে আর মাঠে নামা হবে না মণীশ পান্ডের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, আইপিএলেও মণীশ কেকেআরের প্রথম একাদশে জায়গা পাবেন, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। এবছর সুযোগ পেয়ে যদি তা কাজে না লাগাতে পারেন, তবে পরের বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের দরজাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে মণীশের সামনে।
মঙ্গলবার কর্ণাটকের নির্বাচকপ্রধান জে অভিরাম স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনও ফর্ম্যাটেই আর রাজ্য দলে জায়গা হবে না মণীশ পান্ডের। সেই মতোই ৩৫ বছরের মণীশকে বিজয় হাজারে ট্রফির জন্য কর্ণাটকের সম্ভাব্য স্কোয়াডে জায়গা করে দেওয়া হয়নি। অভিরাম বলেন যে, রাজ্য দলে সড়গড় হওয়ার জন্য এবার নতুনদের জায়গা করে দেওয়ার সময় এসেছে।
তাঁর কথায়, ‘মণীশের কেরিয়ার দুর্দান্ত, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে কোনও একটা পর্যায়ে এসে আপনাকে নতুনদের জন্য জায়গা ছাড়তেই হবে। বেশ কয়েকজন সম্ভাবনাময় তরুণ ব্যাটার রয়েছে। প্রখর চতুর্বেদী, অনীশ্বর গৌতম, কেভি অনীশ, এরা যত বেশি সুযোগ পাবে, ততই ভালো।’
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রঞ্জি ট্রফিতে এবার মণীশ পান্ডে কর্ণাটকের ভাইস ক্যাপ্টেন ছিলেন। অভিরাম এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী মাসে যখন রঞ্জি ট্রফি পুনরায় শুরু হবে, মণীশ পান্ডে কর্ণাটকের হয়ে মাঠে নামবেন না।
কর্ণাটকের নির্বাচকপ্রধান শেষে জানান যে, তাঁরা চান মণীশ পান্ডে কোচ হিসেবে বা অন্য কোনও ভূমিকায় রাজ্য দলের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। তিনি এও স্বীকার করে নেন যে, মণীশের মতো বড় ক্রিকেটারকে আর দলে নেওয়া হবে না, একথা বলা নিতান্ত কঠিন। সেই কঠিন কাজটাই তাঁকে করতে হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন