সমকালীন প্রতিবেদন : কেকেআর ২০২৪ আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন দল। গতবার দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাইটরা। এর আগে ২০১৪ সালে ট্রফি জিতেছিল কলকাতার এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। মাঝখানে কয়েকটা সিজনে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছিল শহর কলকাতার এই দলটি। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে কোচিং স্টাফ- সকলকে নিয়েই জোর চর্চা হয়েছে।
তবে কেকেআর হারুক বা জিতুক, দলের পাশে শাহরুখ খান সব সময় থেকেছেন। যে কোনও পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়িয়েছেন তিনি। তিনি বরাবর দলের পাশে থেকেছেন। তা সে ভাল সময়ে হোক বা খারাপ। ২০২৪ আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর শাহরুখ বলেছিলেন, তিনি পারলে এই দলটাকে আজীবন রেখে দিতে চান।
কিন্তু অনেকেই হয়তো ভাবেন বা ভেবেছেন যে, কিং খান কেন হঠাৎ করে কলকাতার দলটিকে কিনলেন? জনপ্রিয় কমেডিয়ান তথা অভিনেতা কপিল শর্মাও একবার হঠাৎ করেই শাহরুখকে প্রশ্ন করেন, আপনি মুম্বইয়ের বাসিন্দা হয়ে আইপিএলে কলকাতার দল কিনলেন কেন? এর পিছনে কি কোনও আলাদা কারণ রয়েছে!
এই প্রশ্নের জবাবে শাহরুখ বলেন, খুবই সহজ এবং সাধারণ কারণটা। দিল্লিতে কোনও অনুষ্ঠান হলেই বিনামূল্যে প্রচুর পাস বিলি করতে হয়। তুমিও সেটা দেখছো নিশ্চয়ই। ফলে দিল্লির স্টেডিয়াম থেকে তেমন উপার্জনই হয় না। আর ওয়াংখেড়েতে আমার ঢুকতে বাধা। তাই আমি যেখানে আমি মমতা পেয়েছি, সেখানেই চলে গিয়েছি।’
শাহরুখ খান সেদিন ঘুরিয়ে কি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামই বলেছিলেন! এমনিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শাহরুখের ভালো সম্পর্ক। শাহরুখ কি তবে কথায় কথায় বুঝিয়ে দিলেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাতেই কলকাতা ফ্রাঞ্চাইজি কিনতে রাজি হয়েছিলেন!
যদিও কিং খান সেদিন সরাসরি কিছুই বলেননি। উল্লেখ্য, আসন্ন মেগা নিলামে সবথেকে বেশি চাপে থাকবে নাইট শিবির। কারণ, এবার হাতে মাত্র ৫১ কোটি টাকা নিয়ে নিলামের টেবিলে বসতে হবে ম্যানেজমেন্টকে। এই স্বল্প টাকায় ৬ জন বিদেশি সহ মোট ১৯ জন খেলোয়াড়কে কিনতে হবে নাইটদের।
কারণ, পুরনো ৬ খেলোয়াড়কে রিটেন করে ইতিমধ্যে অনেকটা টাকা খরচ করে ফেলেছে শাহরুখের দল। একইসঙ্গে ক্যাপ্টেনকেও রিটেন করেনি তারা। ফলে একইসঙ্গে ক্যাপ্টেন বাছাই এবং ভারসাম্যযুক্ত একটা দল তৈরি এখন নাইটদের কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন