সমকালীন প্রতিবেদন : সেচ দপ্তরে চাকরির নাম করে প্রতারণার অভিযোগ উঠলো সরকারিস্তরের ২ কর্মী এবং তাদের এক সহযোগীর বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো বনগাঁ থানা এলাকায়। এই প্রতারণা চক্রে আর কারা কারা যুক্ত রয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গেছে, সেচ দপ্তরে মোটা বেতনের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে– এই প্রলোভন দেখিয়ে ২০১৯ সালে আরাবুল মন্ডল নামে এক যুবকের কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। প্রতারিত ব্যক্তির অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ধাপে ধাপে মোট ১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়।
এরপর তাকে একটি নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। সরল বিশ্বাসে সেই নিয়োগপত্র নিয়ে ওই ব্যক্তি কাজে যোগ দিতে গেলে তিনি জানতে পারেন যে, ওই নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। তখনই সত্যিটা সামনে চলে আসে। এরপর প্রতারিত ব্যক্তি প্রতারকদের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলেও তারা নানা বাহানায় ঘোরাতে থাকে।
দিনের পর দিন চাকরি না পেয়ে এবং টাকাও ফেরত না পেয়ে শেষপর্যন্ত এবছরের ১৯ জুলাই প্রতারিত ব্যক্তি বনগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেখানে তিনি বনগাঁ ব্লকের সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে সুপারভাইজার পদে কর্মরত মোহর আলী মন্ডল, পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত বিশ্বজিত মন্ডল এবং সম্রাট চন্দ নামে তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।
এরপর বনগাঁ থানার পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার রাতে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের মধ্যে মোহর আলী মন্ডলের বাড়ি বনগাঁ থানার পাটশিমুলিয়া গ্রামে, বিশ্বজিৎ মন্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে এবং সম্রাট চন্দের বাড়ি হাবরা থানার বানিপুর এলাকায়।
ধৃত তিনজনকে মঙ্গলবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করে। বিচারক সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ধৃতদেরকে পুলিশ হেজাতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রে আর কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন