Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের আগে খালেদার দলের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অভিযান

 ‌

Indian-embassyat-Dhaka

সমকালীন প্রতিবেদন : বিএনপি এই মূহুর্তে কতটা গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের বুকে? ভূমিকা কী? ঢাকায় ভারত–বাংলাদেশের বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগে খালেদার দলের ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অভিযান, বর্তমান পরিস্থিতিতে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এটা তো ফ্যাক্ট, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে প্রধান শক্তিধর রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে খালেদা জিয়ার বিএনপি। যে দলটার অস্তিত্ব নিয়ে একসময় প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, তাঁরাই এখন ফ্রন্টলাইনে। 

বিএনপির রবিবাসরীয় কর্মসূচিতে তিনটি শাখা ছাত্র দল, যুব দল এবং স্বেচ্ছাসেবক দল অংশ নেয়। ঢাকার নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। তবে দূতাবাস পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই মিছিল আটকে দেয় বাংলাদেশের পুলিশ। রামপুরার কাছে ব্যারিকেড করে বিএনপির মিছিল থামানো হয়। সেখান থেকে একটি প্রতিনিধিদল ভারতীয় দূতাবাসে যায়, স্মারকলিপিও জমা দেয়। এখন প্রশ্ন হল, কী ছিল ওই স্মারকলিপিতে?

কারণ, যা ঘটছে বাংলাদেশে, সেসব নিয়ে মন্তব্য করা মোটেও পছন্দ করছে না বাংলাদেশ। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য দেশের হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় ইউনূস প্রশাসনের। তাদের দাবি, ওই দেশে সংখ্যালঘুরা নাকি নিরাপদেই রয়েছেন। এদিকে সম্প্রতি, আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের সময়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী এড়িয়ে প্রবেশ করে যান এক দল মানুষ। ওই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সরব হয়েছে বিদেশ মন্ত্রক। একাধিক গ্রেফতারিও হয়েছে। এতকিছুর পরেও অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে যখন তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না, তখন বিএনপি ঠিক কোন ধারণা পোষণ করছে? সেটাও জানা দরকার। 

বলাই বাহুল্য, এদিন বিএনপির স্মারকলিপিতেও কিন্তু আগরতলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি দু’দেশের টানাপোড়েন, সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, বাংলাদেশ ত্যাগের পর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়া। তা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ বিএনপির। তাদের দাবি, ভারতের ‘নিরাপদ আশ্রয়ে’ থেকে হাসিনা বাংলাদেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এটা বাংলাদেশের জনগণ ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না বলে দাবি খালেদার দলের। 

ভারতীয় দূতাবাসে জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে বিএনপি জানিয়েছে, পরস্পরের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস এবং সম্মানের ভিত্তিতে দু’দেশের সম্পর্ক মজবুত হবে। একই সঙ্গে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কতটা প্রয়োজন সেটাও বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ওই স্মারকলিপিতে। দক্ষিণ এশিয়ার ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দু’দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের প্রয়োজন রয়েছে বলেও মনে করছে তারা। 

আর এগুলো কখন ঘটছে? যখন সোমবার বাংলাদেশের বিদেশ সচিবের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রির। তার আগেই বিএনপির এই স্মারকলিপি পেশ মোটেও সাধারণ বিষয় নয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকের মতে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিই সে দেশে প্রধান রাজনৈতিক দল হিসাবে উঠে এসেছে। 

সম্প্রতি মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। সেখানেও আওয়ামী লীগ কিংবা জাতীয় পার্টির কোনও প্রতিনিধিকেও দেখা যায়নি। প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ছিল একমাত্র বিএনপি। সেই বিএনপি ভারত–বাংলাদেশের মধ্যেকার সমীকরণকে যেভাবে গুছিয়ে নিতে চাইছে, তাকে খুব একটা হালকা চালে নেওয়া বোধহয় ঠিক হবে না অন্তর্বর্তী সরকারের জন্যও, মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন