Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশিদের জন্য ভারতীয় ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ করবে ভারত?

 

Indian-Visa

সমকালীন প্রতিবেদন : ভারত থেকে নিয়েই বড়লোক বাংলাদেশ? এখনো আশা ছাড়তে নারাজ? কি করছে ভারতের জন্য? এরপরেও ভিসা নিয়ে সোনার স্বপ্ন সাজাচ্ছে এই ইউনুস সরকার! ভারত কি গ্রিন সিগন্যাল দিল?

তবে কি দিল্লির চালেই কিস্তিমাত? সোমবার ঢাকায় ভারত ও বাংলাদেশের বিদেশসচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। আর তারপরেই, বরফ গলে জল? চিত্রটা ১৮০° অ্যাঙ্গেলে ঘুরে গেল নাকি? এবার বাংলাদেশের আশা, ভিসা বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ করবে ভারত। মানে, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বৃদ্ধি করবে দিল্লি। না, আশার আলো এমনি দেখছে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

বিক্রম মিস্রীই আশ্বস্ত করেছেন যে, বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলেও জানা গেছে। আর এখানেই উঠছে প্রশ্ন। ভারত সাম্প্রতিক অশান্তির আবহে দাড়িয়েও বাংলাদেশীদের কথা ভাবছে। কিন্তু বাংলাদেশ কি করছে? তাহলে কি চোখে আঙুল দিয়ে ভারত দেখিয়ে দিল, বন্ধুত্ব কাকে বলে? এটাই কি মোদী স্ট্র্যাটেজি? 

আমরা জানি, প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন বিভিন্ন কারণে। তার মধ্যে চিকিৎসা, কেনাকাটা, ভ্রমণ, শপিং এগুলো অন্যতম। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বৃদ্ধির পদক্ষেপ করলে ভারতের কথা মাথায় রেখে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের রেয়াত করা উচিত। অশান্তি থামানো উচিত। জোরজুলুম, মারধর, অত্যাচার, নিপীড়ন বন্ধ করা উচিত। সেই ব্যাপারে কি ভাবনা চিন্তা করছে ঢাকা? ভারত কিন্তু কথা দিয়ে কথার দাম রাখতে জানে।

বেসিক্যালি, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের সময়ে বাংলাদেশে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই সময়ে সাময়িকভাবে বাংলাদেশে ভারতীয় দূতাবাস থেকে ভিসা দেওয়া বন্ধ রাখা হয় কিছুদিনের জন্য। যদিও হাসিনা সরকারের পতনের এক সপ্তাহ পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাস থেকে আবার বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া শুরু হয়। তবে আপাতত সীমিতভাবে সেই কাজ চালু রয়েছে। যাতে কারোর কোনো সমস্যা হয়নি এখনো পর্যন্ত। 

তারপরেও গত সেপ্টেম্বর মাসে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, আপাতত বাংলাদেশিদের চিকিৎসার এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে। 

আর, এবার বিক্রম মিস্রী কার্যত সেই আশ্বাসেই সিলমোহর দিলেন বলা যায়। পেঁয়াজ, ডিম সহ অন্যান্য জিনিস বাংলাদেশে পাঠানোর পর বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভারতীয় ভিসার সংখ্যা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া, এবারও কি চোখ খুলবে না বাংলাদেশের?‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন