সমকালীন প্রতিবেদন : আলিগড়ের একটি অত্যন্ত সাধারণ ঘরে জন্মানো রিঙ্কু সিং এর ক্রিকেট খেলার পিছনে অন্যতম বড় কারণ ছিল তাঁর পরিবার। তিনি ক্রিকেটে সাফল্য পেয়ে পরিবারের অর্থাভাব দূর করতে তৎপর ছিলেন। সেই অর্থাভাব অনেকটাই মিটেছে। এর প্রধান কারণ কলকাতা নাইট রাইডার্স। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে কলকাতা ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকেই উত্তরণ। ধীরে ধীরে জাতীয় দলে সুযোগ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত কয়েকটি সিরিজে সেই অর্থে পারফর্ম করতে পারেননি। অনেক ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সুযোগও পাননি। তিনি ফিনিশার। ফলে লোয়ার অর্ডারে নেমে সেট হওয়ার সুযোগ নেই। প্রথম বল থেকেই চালাতে হয়। আত্মবিশ্বাসেও কিছুটা ঘাটতি হয়েছিল। আইপিএলের রিটেনশনের পর ঘরোয়া ক্রিকেটে সেই আত্মবিশ্বাসী রিঙ্কুকেই দেখা যাচ্ছে।
রিটেনশনের ফলে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণও এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে। ঠিক কত টাকার মালিক রিঙ্কু সিং? রিঙ্কু সিংকে এবার ১৩ কোটি টাকায় রিটেন করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। এ বছরের তথ্য অনুযায়ী, রিঙ্কু সিংয়ের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৭-৮ কোটি। প্রতি মাসে তাঁর আনুমানিক আয় ৫ লক্ষ টাকা।
বার্ষিক হিসেব ধরলে রিঙ্কুর আয় প্রায় ৬০ লক্ষ টাকার মতো। তাঁর আয়ের বেশিরভাগটাই আসে আইপিএল স্যালারি এবং বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে। ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকে আপাতত আয় কম হলেও দ্রুতই যে তাঁর দর বাড়বে, তা বলাই যায়। হয়তো আগামী আইপিএলের পর ব্র্যান্ড এনডোর্সমেন্ট থেকেও মোটা অঙ্ক উপার্জন করবেন রিঙ্কু!
সম্প্রতি, তিনি পরিবারের জন্য বাড়িও কিনেছেন। যদিও রিঙ্কুর পুরনো বাড়ি ছিল আলিগড় স্টেডিয়ামের কাছে। চারপাশের পরিবেশই ক্রিকেটের প্রতি রিঙ্কুর ভালবাসা বাড়ায় এবং ক্রিকেটকে কেরিয়ার হিসাবে বেছে নিতে সাহায্য করে রিঙ্কুকে। তবে চ্যালেঞ্জ ছিল প্রচুর। রিঙ্কুর বাবা, খানচাঁদের সিং বাড়ি বাড়ি গ্যাস সিলিন্ডার বিলি করতেন অতীতে।
সেই পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে যাওয়াটাও ছিল ভীষণ চাপের। রিঙ্কু পরিবারের সাহায্যের জন্য ঝাড়ুদারের কাজ পর্যন্ত করেছেন। ছেলের খেলা চালিয়ে যাওয়ার জন্য রিঙ্কুর মাকে টাকা অবধি ধার নিতে হতো বলে রিঙ্কুই একদা জানিয়েছিলেন। তবে সেই অবস্থা এখন বদলে গিয়েছে। কারণ, রিঙ্কু এখন শুধু নাইট শিবিরের নয়, গোটা দেশের কাছে হয়ে উঠেছেন প্রাণভোমরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন