সমকালীন প্রতিবেদন : সারা পৃথিবীজুড়েই ডাল শস্যের ব্যাপক চাহিদা। আর বাংলায় তো কথাই আছে 'ডালে-ভাতে বাঙালি'। ডাল নানা ধরনের হয়। তবে সবচেয়ে বেশি প্ৰচলিত অবশ্যই মসুর ডাল। মসুর ডাল সুস্বাস্থ্যের অন্যতম উৎস। উদ্ভিজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস মসুর ডাল। তাই মসুর ডালকে আমিষ খাদ্যের তালিকায় অনেকে রাখেন।
ডালের পুষ্টিগুন অপরিসীম। যেমন -
ডালে আছে প্রচুর প্রোটিন, ফাইবার, খাদ্যশক্তি, খনিজ পদার্থ, ক্যালসিয়াম, লোহা, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি ২ ও শর্করা। এছাড়াও, মসুর ডালে পাওয়া যায় ম্যাগনেসিয়াম। এই ভরপুর পুষ্টিগুনসম্পন্ন মসুর ডাল মানব শরীরের ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
মসুর ডালের অন্যতম উপকার হলো -
১) প্রচুর ফাইবার থাকার জন্য হজমশক্তি বাড়ায়, হার্ট সতেজ রাখে, কোষ্ঠিকাঠিন্য দূর করে।
২) ম্যাগনেসিয়াম হার্টের সক্রিয়তা বাড়ায়।
৩) ম্যাগনেসিয়াম শরীরের সর্বত্র রক্ত ও অক্সিজেন প্রবাহের সহায়ক।
৪) এর দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে।
৫) ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে।
৬) এর ফাইবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
৭) মসুর ডালের আয়রন রক্তাল্পতা দূর করে।
৮) এই ডালের আয়রন গর্ভবতী মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী।
তাই বলা যায়, মসুর ডালে আদতে আমরা একটা ব্যাল্যান্স খাদ্যগুণ পাই। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মসুর ডাল রাখুন। অন্যান্য ডালেও রয়েছে নানাবিধ গুণ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন