Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনির সন্ধান মিললো

 

Gold-mine

সমকালীন প্রতিবেদন : আবিষ্কৃত হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোনার খনি। আর তাই নিয়ে এখন বিশ্বজুড়ে চলছে আলোচনা। এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির মালিক ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখানকার 'সাউথ ডিপ' খনিতে রয়েছে ৯০০ টন হলুদ ধাতু। এবার সেই মুকুট বেজিংয়ের মাথায় উঠতে চলেছে। চিনের হুনান প্রদেশের পিংজিয়াং কাউন্টিতে বিশ্বের সর্বাধিক বড় স্বর্ণখনিটি অবস্থিত বলে খবর। 

অনুমান করা হচ্ছে, ওই খনিতে ১০০০ মেট্রিক টন উন্নত সোনার আকরিক রয়েছে। মানে এই মূহুর্তে চিনের ওই খনিতে ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৭ লক্ষ কোটিরও বেশি টাকার সোনা সঞ্চিত রয়েছে। তবে খনিতে হলুদ ধাতুর এক্স্যাক্ট পরিমাণ জানতে ‘থ্রিডি মডেলিং’ পদ্ধতির সাহায্য নিয়েছে চিন। 

সুপার কম্পিউটার পরিচালিত থ্রি ডি মডেলিং পদ্ধতিতে জানা গিয়েছে, খনির গভীরে অতিরিক্ত সোনা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য ভূগর্ভের তিন কিলোমিটার নীচে নামতে হতে পারে খনি শ্রমিকদের। একে অবশ্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছে ভূতাত্ত্বিকদের দল। তবে যে সোনার খনি চিনের হাতে এসেছে তা দেশটির অর্থনীতির জন্য অবশ্যই ইতিবাচক দিক। কারণ, সোনা যে কোনও দেশের অর্থনীতির ক্ষেত্রেই সম্পদ। 

এমনিতেই চিনে রয়েছে প্রচুর সোনার খনি, যা থেকে মোটা অর্থ উপার্জন করে এই দেশ। নতুন এই খনি আবিষ্কারের আগে পর্যন্ত এই দেশে ২০০০ টনের বেশি সোনা সঞ্চিত ছিল। নতুন খনি আবিষ্কার চিনকে অর্থনৈতিকভাবে আরও স্বাবলম্বী করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।‌ 

ভূতাত্ত্বিকরা জানিয়েছেন, সোনার মতো মূল্যবান ধাতু ভূগর্ভে প্রচুর পরিমাণে জমা রয়েছে। আগামীদিনে এই ধরনের স্বর্ণখনির সন্ধান দুনিয়ার অন্য কোনও প্রান্তে মিলবে কি না, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। তবে এখনও খনি থেকে উৎপাদন শুরু হয়নি। ফলে দ্রুত অর্থনীতি বদলের সম্ভাবনা বেশ কম বলে জানিয়েছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

চিনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বর্ণখনির আবিষ্কার হওয়ায় এই খনির উপর ভর করে বেজিং এর অর্থনীতি দৌড়তে শুরু করলে সেখানে আমেরিকান লগ্নিকারীদের বিনিয়োগ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। ২০২২ সালে খনিজ সম্পদের সন্ধান পেতে ১.১ লক্ষ কোটি ইউয়ান খরচ করে বেজিং। 

ভারতীয় মুদ্রায় এ‌ই সম্পদের পরিমাণ ১.২৭ লক্ষ কোটি টাকা। ধাতু শিল্পে বিদেশি নির্ভরতা কমাতে ড্রাগন-সরকার ওই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গিয়েছে।‌ এই সোনার খনি শেষ পর্যন্ত চিনকে কোন পথে পরিচালিত করে, সেটাই এখন দেখার।






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন