সমকালীন প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ সাহায্যে পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানদের জন্য আধুনিকমানের ভবন তৈরি করা হয়েছে। শুক্রবার ভার্চুয়ালি সেই ভবনের উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ দক্ষিনের বিধায়ক স্বপন মজুমদার সহ বিএসএফ এবং ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির আধিকারিকেরা।
শুক্রবার ছিল এসএসবি র ৬১ তম বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে ফ্রন্টের হেডকোয়ার্টার তিস্তা গ্রাউন্ডে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি শহীদ বেদীতে মাল্যদান করেন। এর পাশাপাশি ওই স্থান থেকেই ভার্চুয়ালি পেট্রাপোল সীমান্তে বিএসএফ কর্মী, আধিকারিকদের জন্য নির্মিত বাসস্থানের উদ্বোধন করলেন।
পেট্রাপোলের এলপিআই এর ভিতরে এই ভবন নির্মাণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে চারটি আলাদা আলাদা ব্লক। সাড়ে ৩ একর জমির উপর প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ করে এই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে জওয়ানদের জন্য কোয়ার্টারের পাশাপাশি অফিশিয়াল কাজের জন্য অফিসঘর নির্মানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, এখানে আধিকারিক, সহ আধিকারিক, পুরুষ জওয়ান এবং মহিলা জওয়ানদের আলাদা আলাদা ভবন নির্মান করা হয়েছে। সেখানে ৫ জন বিএসএফ আধিকারিক, ২৪ জন সহ আধিকারিক, ১৪২ জন পুরুষ জওয়ান এবং ১৬ জন মহিলা জওয়ান থাকতে পারবেন। এর পাশাপাশি রান্নার জন্য আলাদা জায়গা করা হয়েছে।
এব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর জানান, নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের বর্তমান সরকার দেশজুড়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছে। পেট্রাপোলে এই নতুন ভবন তারই একটি অংশ। স্বাধীনতার পর পেট্রাপোল সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন নিয়ে সেভাবে কেউ ভাবেন নি। আমাদের দায়িত্ব এগুলি নিয়ে ভাবার। তাই পেট্রাপোল থেকে বাগদা পর্যন্ত রেলপথ নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
পেট্রাপোল এলপিআই এর ম্যানেজার কমলেশ সাহানী জানান, নতুন এই ভবন পেট্রাপোল সীমান্তে কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানদের খুবই উপকারে আসবে। আগে বিএসএফদের থাকার জন্য একটি ডর্মিটরি ছিল। কিন্তু সেখানে সবার থাকার ব্যবস্থা ছিল না। তাই নতুন এই ভবন নির্মান করা হয়েছে। এতে তাঁদের যথেষ্ট সুবিধা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন