Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশে পুলিশের পোষাক বদল নিয়ে কমিশন গঠন অন্তর্বর্তী সরকারের

 

Bangladesh-Police-uniform

সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশে পুলিশ ব্যাপারটাই উঠে যাচ্ছে? পুলিশের ইউনিফর্ম নিয়ে আসছে বড় খবর! একেবারে কমিশন তৈরি হয়ে গেল। অন্তর্বর্তী সরকার ঠিক কি করতে চাইছে? "নৌকৌ" নিয়েই যত টানাটানি। তবে কি "নৌকো" উঠে যাচ্ছে? অস্থায়ী সরকার গড়ার পর বদলের বাংলাদেশে আর কি কি দেখা বাকি? মুখে মুখে ফিরছে একটাই কথা। বাংলাদেশে পুলিশ, পুলিশের ইউনিফর্ম এর খোলনলচেই কি তবে বদলে যাচ্ছে? আসল ফ্যাক্টটা কী?

জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশের চরিত্রই পাল্টে যাচ্ছে। গুলিতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু, বেকায়দায় ফেলেছে শীর্ষ অপরাধ নিয়ন্ত্রণকারী এই বাহিনীকে। আর ঠিক এই সুযোগে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশের ব্যাপক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। পুলিশের আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল– সব সদস্যের রদবদল হয়েছে। সম্পূর্ণ সংস্কারের জন্য গঠন করা হয়েছে কমিশন। কমিশন তাদের কাজ প্রায় গুছিয়ে এনেছে। এখন প্রশ্ন হল, এক্স্যাক্টলি কি করেছে কমিশন?

বেসিক্যালি, বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের পোশাক, মনোগ্রাম ও ক্যাপ থেকে নৌকার ছাপ পরিবর্তন করার দাবি উঠেছে। সংস্কার কমিশনও এই দাবির সঙ্গে সহমত। তাই কমিশনের তরফে পুলিশের পোশাক পরিবর্তনের প্রাথমিক সুপারিশ করা হয়েছে। না শুধু কমিশন নয়। পুলিশ কর্তৃপক্ষও চাইছে পোশাক পরিবর্তন করতে। এরজন্য অলরেডি একটা কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশের পুলিশ সদর দফতর। 

আইজিপি থেকে শুরু করে কনস্টেবল পর্যন্ত একই ধরনের পোশাক পরিধান এবং মনোগ্রাম ও ক্যাপ থেকে নৌকাচিহ্ন পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাহলে এখন কিসের অপেক্ষা? অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষপর্যায় সম্মতি দিলে আগামী বছরের মাঝামাঝি নতুন পোশাক ব্যবহার করবে বাংলাদেশের পুলিশ। শুধু যে নৌকো উঠে যাচ্ছে তা নয় কিন্তু, পোশাকের রঙ নিয়েও বিস্তর গবেষণা চলছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে।

কিন্তু কি হবে রং? দেখতে কেমন হবে? আদৌ কি সেই সম্পর্কে কোন খবর সামনে আসছে? এই নিয়ে যখন চারিদিকে কৌতুহল বাড়ছে মানুষের, তখন জানা যাচ্ছে পোশাকের হাতের অংশে রেঞ্জ, জেলা, ইউনিট ও মেট্রোপলিটন পুলিশের মনোগ্রাম থাকবে। নৌকার ছবি থাকবে না। তবে পোশাকের রঙ কী হবে, তা এখনো ঠিক হয়নি। কয়েকটা রঙ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। নিজস্ব ফ্যাক্টরি থেকে কাপড় কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এইজন্য একজন ডিআইজি'কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঢাকার গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানা করারও পরিকল্পনা আছে পুলিশ সদর দপ্তরের। 

লাস্ট, ২০০৪, ২০১৬ ও ২০২১ সালে পুলিশের কয়েকটা ইউনিটের পোশাকের রঙ পরিবর্তন করা হয়েছিল। সর্বশেষ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের পোশাক পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু পোশাক কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। কিরকম দুর্নীতি? মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের অভিযোগ, পোশাকের কাপড় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্নমানের। এসব পোশাক সারাদিন পরে থাকা যায় না। গরম লাগে। 

অনেকে নিজের টাকায় ভালো মানের কাপড় কিনে পোশাক তৈরি করে থাকেন। আইজিপি সহ ঊর্ধ্বতনদের পোশাকের কাপড়ের মান উন্নত। আর পুলিশের এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলদের কাপড়ের মান নিম্ন। রঙেও ভিন্নতা রয়েছে। কিন্তু এবার যেভাবে পুলিশের পোশাকের খোলনোলচে বদলে যাচ্ছে, তাতে প্রশ্ন উঠছে, নৌকো ছাড়া যে নতুন পোশাক পাবে পুলিশ সদস্যরা, সেখানেও কি এই সব ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাবে? 

সারা বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যরা একই ধরনের পোশাক যাতে ব্যবহার করতে পারেন, কিছু প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন, রেঞ্জ, জেলা সহ বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যদের পোশাক একই ধরনের হবে। আর সবথেকে যেটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার পুলিশের মনোগ্রাম থেকে নৌকা, ক্যাপ, ব্যাজ ও বেল্ট থেকে নৌকার সঙ্গে বইঠা বাদ দেওয়া হবে। কিন্তু তাতে কি পুলিশের কাজ, পুলিশের ভূমিকা বা পুলিশের পোশাক এর মান, এমনকি পুলিশের পোশাক নিয়ে দুর্নীতি, এইসব ছবি বাংলাদেশে বদলে যাবে? উত্তর দেবে সময়।‌




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন