Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

আরাকান আর্মি আসলে কোন দেশের সেনা?

 

Arakan-Army

সমকালীন প্রতিবেদন : মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের প্রায় নব্বই ভাগ এখন আরাকান আর্মির দখলে। মায়ানমারের সেনা বাহিনী কোনওরকমে রাখাইন প্রদেশের সেনা সদরটি আগলে রেখেছে। সে দেশের সংবাদমাধ্যমের খবর, দু-তিনদিনের মধ্যে সেনা সদরও আরাকান আর্মির দখলে চলে যাবে। 

সেনা বাহিনী একমাত্র ঘাঁটির দখল নিতে সেটি চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলেছে আরাকান জনগোষ্ঠীর হয়ে যুদ্ধরত আরারান আর্মি। বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইন প্রদেশের ২৭০ কিলোমিটার সীমান্তও এখন আরাকান আর্মির দখলে। আসলে রাখাইন প্রদেশের একটি জনগোষ্ঠীর নাম আরাকান। 

মায়ানমারের সেনা শাসকদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ২০০৯ সালে তৈরি হয় আরাকান আর্মি। তাদের রাজনৈতিক দলের নাম ইউনাইটেড লিগ অফ আরাকান। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী আরাকান আর্মির সঙ্গে ইসলাম ধর্মাবলম্বী রোহিঙ্গাদের বিরোধ পুরনো। দু-পক্ষই একে অপরকে নিকেষ করতে যুদ্ধ চালাচ্ছে। 

মায়ানমার সেনা আট বছর আগে রাখাইন প্রদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের নিকেশ অভিযান চালাতেও চলতি পরিস্থিতির বাস্তবতা মেনে আরাকান-রোহিঙ্গা আর্মি বা এআরএ এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি বা আরসা সরকারি বাহিনীর পক্ষ নিয়েছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে তাদেরও লড়াই চলছে।

এখন মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশের দখল নিতে লড়াই চালাচ্ছে তারা। পাল্টা লড়াইয়ে নেমেছে রোহিঙ্গাদের প্রাইভেট আর্মি। এদিকে ইতিমধ্যে আরাকান আর্মি নাফ নদীতে নৌ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। সীমান্তের এই নদী দিয়েই বাংলাদেশের প্রশাসনের লোকজন এবং সাধারণ নাগরিকেরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াত করে থাকে। 

‌কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে যাতায়াত বন্ধ। বাংলাদেশ সীমান্ত রক্ষী বাহিনী—বিজিবি মায়ানমার সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে শুধু অনুপ্রবেশের সমস্যাই নয়, বাংলাদেশ ও ভারতে থাকা ওই জনগোষ্ঠীর লোকেরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। 

মাদক ও মানব পাচারের মতো অপরাধেও যুক্ত রোহিঙ্গা যুবকেরা। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ ও ভারত। সেই কারণেই আরাকান এখন দিল্লি ও ঢাকার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন