সমকালীন প্রতিবেদন : আসন্ন আইপিএল মরশুমের আগে ভালোই দল গুছিয়ে নিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। গতবারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা তাঁদের দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারকেই এবারে ফিরিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে বেঙ্কটেশ আইয়ারকেই একা ২৩ কোটির বেশি দিয়েছে নাইট রাইডার্স শিবির, তাঁর কারণ দলের কোর একটা গ্রুপ রয়েছে, সেটা ধরে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা।
এদিকে আবার ২০১৪ সালে আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে আগমন আন্দ্রে রাসেলের। এরপর থেকে এক দশক হয়ে গেছে কেকেআরেই থেকে গেছেন এই তারকা অলরাউন্ডার। অবশ্য তিনি থেকে গেছেন বলাও ভুল, কেকেআরও তাঁকে ছাড়েনি। ভালো সময়, খারাপ সময় পেরিয়ে তাঁকে দলে রেখে দিয়েছে প্রত্যেকবারই রিটেনশনের আগে। এবার সামনে এল নয়া তথ্য।
আসলে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে দীর্ঘ এক দশক ধরেই প্রায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশি ক্রিকেটাররা এসেছেন এবং চলে গেছেন। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অলরাউন্ডার সুনীল নারিন এবং আন্দ্রে রাসেলকে তারা ধরে রেখেছে। সাম্প্রতিক সময় যদি দেখা যায়, তাহলে কোনও দলই দুই বিদেশির জন্য এতটা ভালোবাসা এবং ভরসা দেখায়নি আইপিএলে। কিন্তু সেটাই করে দেখিয়েছে কেকেআর।
এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভালোবাসারই দাম দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটার আন্দ্রে রাসেল। সম্প্রতি রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ইউটিউব শোতে এক বিশিষ্ট কোচ এবং আম্পায়ার প্রশন্ন আগোরম জানিয়েছেন, রাসেলের কাছে নাকি আইপিএলের রিটেনশনের আগে থেকেই একটি দলের প্রস্তাব পৌঁছে গেছিল। কিন্তু তাতে সায় দেননি রাসেল।
আইপিএলের সেই ফ্র্যাঞ্চাইজি আন্দ্রে রাসেলকে জানিয়েছিল, আইপিএলে তাঁকে বড় অঙ্কের আর্থিক চুক্তিতে দলে নেবে। তাঁকে অনুরোধ করা হয়েছিল, যাতে কেকেআর থেকে তিনি রিলিজ চেয়ে নেন। অর্থাৎ শ্রেয়স আইয়াররা যেমন কেকেআরে খেলবেন না জানিয়েছেন, তেমনই করতে বলা হয়েছিল রাসেলকেও। যদিও তিনি তাতে রাজি হননি।
তিনি পাল্টা উত্তরে বলতে থাকেন, ‘কেকেআর ম্যান, কেকেআর ম্যান ’। অর্থাৎ তিনি কেকেআরেই থাকবেন সেকথা বলে দেন। এরপর কেকেআরও তাঁকে রিটেন করে। শুধু এবার বলে নয়, অতীতেও বহুবার খারাপ পারফরমেন্স সত্বেও রাসেলকে রিটেন করেছে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার দেখার এটাই যে, এই সিজনে কেমন খেলেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন