সমকালীন প্রতিবেদন : রেকর্ড গড়ার পর ১০ দিনও কাটেনি। তার মধ্যেই নজিরে ভাগ বসল। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ২৮ বলে সেঞ্চুরি করে শিরোনামে এসেছিলেন গুজরাটের উর্ভিল প্যাটেল। কিন্তু এদিন তাতে ভাগ বসালেন অভিষেক শর্মা। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ২৮ বলেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে নয়া নজির গড়লেন তিনি। ভারতীয় দলের তারকা টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডে নিজের নামও খোদাই করে রাখলেন।
পাঞ্জাবের সঙ্গে এদিন ম্যাচ ছিল মেঘালয়ের। যেখানে ১৪৩ রান তাড়া করতে নেমেছিল অভিষেকের নেতৃত্বাধীন দল। আর শুরু থেকেই সেখানে ঝড় তোলেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলা ওপেনার। ২৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। পাঞ্জাব যখন ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফিরছে, তখন স্কোরবোর্ডে অভিষেকের রান ২৯ বলে ১০৬।
এই রানে পোঁছতে অভিষেক মেরেছেন ৮টি চার। হাঁকিয়েছেন ১১টি ছক্কা। সেই সঙ্গে চোখ কপালে তোলা ৩৬৫.৫২ স্ট্রাইক রেট। এছাড়া, বল হাতেও দুটি উইকেট তুলেছেন তিনি। এর আগে পর্যন্ত সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি তিনি। ৬ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ১৪৯ রান। ছিল মাত্র একটি হাফসেঞ্চুরি।
কিন্তু মেঘালয়ের বিরুদ্ধে চেনা বিধ্বংসী মেজাজে ফিরলেন অভিষেক। আইপিএলে যাঁকে ১৪ কোটি টাকা দিয়ে রিটেন করেছে হায়দরাবাদ। যদিও একটুর জন্য বিশ্ব ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙতে পারলেন না অভিষেক। এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহান ২৭ বলে শতরান করেছিলেন সাইপ্রাসের বিরুদ্ধে।
যদিও এই ম্যাচে তিনি ভেঙেছেন ভারতীয় টি-২০ দলের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবের নজির। এক ক্যালেন্ডার বছরে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন অভিষেক। চলতি বছর ৩৮টি ইনিংসে ৮৬টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। আগে এই নজির ছিল ভারতের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সূর্যের।
২০২২ সালে ৪১টি ইনিংসে ৮৫টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। সেই নজির ভেঙেছেন অভিষেক। এখনও খেলবেন তিনি। অর্থাৎ, এক ক্যালেন্ডার বছরে ১০০ ছক্কার নজির ছোঁয়ার সুযোগ রয়েছে তাঁর। সেটা কি তিনি করতে পারবেন? এর উত্তর রয়েছে সময়ের হাতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন