সমকালীন প্রতিবেদন : ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর ভারতীয় টেস্ট দলের কাছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়ার রাস্তা কঠিন হয়েছে। কারণ, আসন্ন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে বড় ব্যবধানে না জিততে পারলে ফাইনালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে টিম ইন্ডিয়ার কাছে। তাই এই সিরিজে কামব্যাক করতে মরিয়া বিরাট কোহলিরা।
ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার পিচে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, ভারতীয় উইকেটে স্পিন বোলারদের সামনে অত্যন্ত খারাপ অবস্থা হয়েছিল বিরাটের। শ্রীলঙ্কায় গিয়েও একইভাবে স্পিনারদের কাছে আউট হয়েছেন তিনি। বারবার স্পিনের বিরুদ্ধে নতি স্বীকার করায় চাপ বেড়েছে কোহলির ওপর।
তিনি তাই সবার আগেই অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছেন, আর শুরু করেছেন অনুশীলনও। সূত্রের খবর, বিরাট কোহলি অস্ট্রেলিয়ান উইকেটে বাউন্সের প্রতি সাবলিলই ছিলেন। তেমন কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। জোরকদমেই অনুশীলন করেছেন। যদিও প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় আসলে ব্যাটসম্যানদের যে সমস্যা হয়, সেটা হয়েছে সরফরাজ খানের সঙ্গে।
তিনি এমন বাউন্সি ট্র্যাকে মানিয়ে নিতে পারেননি। এমনিতেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চারটি ইনিংসে তিনি ৩০ রানও করতে পারেননি। শর্ট বলের ক্ষেত্রে ভারতের মাটিতেই সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। ফলে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে যে তাঁর এমন অবস্থা হবে, সেটাও স্বাভাবিকই ছিল। নেট সেশনে অবশ্য শুভমন গিল এবং যশস্বী জয়সওয়াল ভালোই ব্যাটিং করেন।
তাঁদের তেমন কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। রোহিত শর্মার অনুপস্থিতিতে যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেনিং করতে দেখা যেতে পারে লোকেশ রাহুলকে। অবশ্য গিলকে দিয়েও ওপেনিংয়ের একটা ক্ষীন সম্ভাবনা থাকছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে অনেকটাই বিরাট কোহলির ওপর।
কারণ, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুবার টেস্ট সিরিজে কোহলি দুরন্ত পারফরমেন্সই দেখিয়েছিলেন। কিন্তু গতবার ২০২০-২১ সালের সিরিজে তিনি সব ম্যাচ না খেলেই দেশে ফিরেছিলেন। কারণ, তখন তাঁর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ছিলেন। তবে এবার জোরকদমে কামব্যাক করার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন