সমকালীন প্রতিবেদন : পার্থ টেস্টের তৃতীয় দিনেও ভারতীয়দের দাপট অব্যাহত। অস্ট্রেলিয়াকে কোণঠাসা করে আপাতত চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়া। প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন, হয়তো নিউজিল্যান্ড সিরিজের ‘রিপিট টেলিকাস্ট’ হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কিন্তু, বুমরাহ, সিরাজ, হর্ষিতদের আগুন বোলিংয়ের পর যশস্বী, রাহুল, বিরাটের দাপুটে ব্যাটিং দেখে আপাতত শীতঘুমে নিন্দুকেরা।
দীর্ঘ ৪৯২ দিন পর সেঞ্চুরি এল বিরাটের ব্যাট থেকে। তবে যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতীয় দলের এই তরুণ তুর্কির ব্যাটিং দেখে মনেই হচ্ছিল না যে, তিনি অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে স্টার্ক, হ্যাজেলউড, কামিন্সের মতো ভয়ঙ্কর বোলারদের সামনে ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬১ রানের লম্বা ইনিংস খেলেন যশস্বী, কোহলি অপরাজিত ১০০।
টি-২০ নয়, সাহসের সঙ্গে টেস্টকে টেস্টের মতো করে খেললেন সকলেই। তার ফলাফল সবার সামনে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের টোটাল ৪৮৭ রান ৬ উইকেটে। অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩৪ রানের টার্গেট দিয়ে ইনিংস ডিক্লেয়ার দেন অধিনায়ক বুমরাহ। পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া – উভয় দলই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছিল।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা বড় স্কোর করেন। তা দেখে মনে হচ্ছিল, অজি ব্যাটসম্যানরা হয়ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেবেন বুমরাহ, সিরাজদের। কিন্তু তৃতীয় দিনের শেষ আধঘন্টায় ফের খেলা ঘুরিয়ে দিলেন ভারতীয় ফাস্ট বোলাররা। প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে ম্যাকসুইনিকে আউট করেন বুমরাহ। খাতা না খুলে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে।
নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে নামেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তবে তাঁকেও বেশিক্ষণ ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকতে দেননি মহম্মদ সিরাজ। তিনি মাত্র ২ রানে আউট হন। চতুর্থ নম্বরে নামেন লাবুশেন। তিনিও মাত্র ৩ রানে বুমরাহর শিকার হন। তারপরেই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়।
শেষমেশ ৩ উইকেট হারিয়ে ১২ রানে ক্রিজে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচ জিততে হলে অজিদের এখনও ৫২২ রান দরকার। হাতে রয়েছে দু’দিন। এদিকে, ভারতকে এই ম্যাচ জিততে হলে মাত্র ৭টি উইকেট নিতে হবে। তাই একথা বলাই যায় যে, পার্থ টেস্টে আপাতত চালকের আসন দখল করেছে টিম ইন্ডিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন