সমকালীন প্রতিবেদন : মেগা নিলামে ইতিহাস তৈরী করেছেন ঋষভ পন্থ, শ্রেয়স আইয়ার, অর্শদীপ সিংয়ের মতো ভারতীয় খেলোয়াড়রা। তাঁদের রেকর্ড দামে কিনেছে দলগুলি। তবে শ্রেয়স, সল্ট বা স্টার্ক-কাউকেই ফেরাতে পারেনি নাইট শিবির। সেই কারণে, কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের হয়ে কে ওপেন করবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট জল্পনা তৈরি হয়েছিল। সেই জল্পনা কিছুটা হলেও যেন অবসান হল। দক্ষিণ আফ্রিকার তারকা ক্রিকেটার কুইন্টন ডি কক নাইট ব্রিগেডে নাম লেখালেন।
পঞ্চম সেটে নাম উঠেছিল কুইন্টন ডি ককের। তাঁর বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। শেষপর্যন্ত ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় তাঁকে দলে নিয়েছে কেকেআর ব্রিগেড। গত মরশুমে কুইন্টন ডি কক লখনউ সুপার জায়ান্টসের হয়ে খেলেছিলেন। ১১ ম্যাচে তিনি মোট ২৫০ রান করেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৩৪.৪১। তিনটে হাফসেঞ্চুরি করলেও কোনও শতরান তিনি করতে পারেননি।
তবে এখানেই শেষ নয়, নাইটদের নিলাম কাহিনীতে রয়েছে আরও চমক। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকেও দলে নিয়েছে কেকেআর। গুরবাজের বেস প্রাইস ছিল ২ কোটি টাকা। কলকাতা ছাড়া অন্য কোনও দল তাঁর জন্য বিড করেনি। সেক্ষেত্রে আফগান উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানকে দলে নিতে খুব একটা অসুবিধা হয়নি কলকাতার।
২০২৩ সালে গুরবাজ কলকাতা নাইট রাইডার্সে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম মরশুমে তিনি ১১ ম্যাচে ২২৭ রান করেন। এরমধ্যে জোড়া হাফসেঞ্চুরি ছিল। তবে এই বছর তিনি মাত্র দুটো ম্যাচই খেলেন। ব্যাট হাতে ৬২ রান করেছেন। যদিও ফিল সল্টের জন্য তিনি খেলার সুযোগ পাননি। এখনও পর্যন্ত নিলাম অনুষ্ঠানে মোট ৭ ক্রিকেটারকে দলে নিয়েছে নাইট ব্রিগেড।
কুইন্টন ডি কক ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে তারা নিজেদের দলে টেনেছে। কলকাতার কাছে ভেঙ্কটেশকে ফিরে পাওয়া যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের ছিল। কারণ, আসরে নেমেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। তারা ২৩.৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত দর দেয়। কিন্তু, তাতেও পিছু হটেনি কলকাতা। শেষপর্যন্ত, ঘর ওয়াপসি হল ভেঙ্কটেশের।
এছাড়াও, ভয়ঙ্কর প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার এনরিখ নোখিয়াকেও দলে নিয়েছে কেকেআর। পাশাপাশি, প্রথম দিনের নিলামে বৈভব অরোরাকেও দলে ফিরিয়েছে তারা। এছাড়াও, নাইট শিবিরে এসেছেন মায়াঙ্ক মার্কণ্ডে। এবার দেখার এটাই যে, দ্বিতীয় দিনের শেষে কেমন দল তৈরি করবে নাইট শিবির।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন