সমকালীন প্রতিবেদন : এক নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলো এক যুবককে। এয়ারপোর্ট দেখাতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে তাকে আন্দামানে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার প্রায় ৬ মাস পরে আন্দামানে নাবালিকার সন্ধান মেলে। অবশেষে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে। গোবরডাঙা থানার মছলন্দপুর এলাকার ঘটনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাস ছয়েক আগে মছলন্দপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে এয়ারপোর্ট দেখানোর টোপ দিয়ে বাড়ি থেকে দমদম বিমানবন্দরে নিয়ে যায় সুপ্রকাশ সাহা। সম্পর্কে সে নাবালিকার একপ্রকারের মামা। অভিযুক্তর উদ্দেশ্য অবশ্য বুঝতে না পেরে তার কথায় বিশ্বাস করে এয়ারপোর্ট দেখতে চলে যায় ওই নাবালিকা।
পরিবারের দাবি অনুযায়ী, বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে বিমানে করে আন্দামানের উদ্দেশ্যে নাবাসিকাকে নিয়ে যায় ওই যুবক। নাবালিকার পরিবারের লোকজন সমস্ত জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও তার কোনও খোঁজ না পেয়ে গোবরডাঙা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন পরিবারের সদস্যরা। নাবালিকার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত নামে।
এরইমধ্যে কেটে গিয়েছে ছয় মাস। বিভিন্ন সূত্র মারফত তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে যে, ওই নাবালিকা এবং অভিযুক্ত যুবক আন্দামানে রেয়েছে। এরপর পুলিশের একটি দল আন্দামানে উপস্থিত হয়। সেখানেই সন্ধান মেলে নাবালিকা সহ অভিযুক্তর। উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় নাবালিকাকে। ইতিমধ্যেই ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে।
আন্দামান থেকে গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে ট্রানজিট রিমান্ডে মছলন্দপুরে নিয়ে আসা হয়েছে। গোবরডাঙা থানার গৈপুর এলাকার বাসিন্দা ধৃত সুপ্রকাশ সাহাকে শনিবার বারাসত আদালতে তোলা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে অপহরণ ও পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে। নাবালিকার পরিবারের লোকজন বাড়ির মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুশি। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকর্মীদের।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন