সমকালীন প্রতিবেদন : চুরি যাওয়ার মাত্র ছয় ঘন্টার মধ্যেই সোনার দোকানের চুরির কিনারা করল উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ। দোকান এবং রাস্তার সিসি ক্যামেরা দেখে চোরকে সনাক্ত করে চোরকে ধরা সম্ভব হল। উদ্ধার হল চুরি যাওয়া সোনার গয়না। পুলিশের এই তৎপরতায় খুশি দোকান মালিক। আদালতের নির্দেশে ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর দুপুর ১টা ৪৬ মিনিটে মছলন্দপুর–বসিরহাট রোডে একটি সোনার দোকানে গয়না কেনার জন্য ঢোকে অভিযুক্ত ব্যক্তি। দোকানের মালিককে সে বলে যে, চার লাখ টাকার গয়না কিনবে সে। ভালো খরিদ্দার ভেবে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হন দোকান মালিক। খরিদ্দারের চাহিদা অনুযায়ী একটার পর একটা গয়না দেখাতে থাকেন তিনি।
কিন্তু খরিদ্দার সেজে আসা ওই ব্যক্তি যে একজন চোর, তা একেবারেই বুঝতে পারেন নি দোকান মালিক। গয়না দেখতে দেখতেই জল খেতে চায় খরিদ্দাররুপী ওই ব্যক্তি। সরল বিশ্বাসে দোকান মালিক নিজেই জল আনতে চলে যান। আর সেই ফাঁকেই অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি দোকানের শোকেজের ড্রয়ার খুলে হাতিয়ে নেয় একটি সোনার আংটি। এরপর গয়না পছন্দ না হওয়ার বাহানায় দোকান থেকে চলে যায় ওই ব্যক্তি।
অভিযুক্ত দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে মালিকের নজরে পড়ে যে, ড্রয়ার থেকে খোঁয়া গেছে সোনার গয়না। এরপরেই তিনি মছলন্দপুর তদন্ত কেন্দ্রে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন সোনার দোকানের মালিক ইন্দ্রজিৎ কর্মকার। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে দিশাহারা হয়ে পড়ে। তাদের হাতে শুধুমাত্র দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ ছিল। তার উপরেই ভরসা করেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিপ্লব সরকার এবং পুলিশ অফিসার দেবাশিস কান্ডার দোকানের সিসি ক্যামেরা এবং মছলন্দপুর তিন রাস্তার মোড়ের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের উপর গুরুত্ব দিতেই সূত্র মেলে ডব্লিউবি ২৮ এফ ৬৮২২ নম্বরের একটি বাইকের। এই বাইকে করেই অভিযুক্ত ব্যক্তি চুরি করতে গিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই চোরের সন্ধান পায় পুলিশ।
বাইকের সূত্র ধরেই চোরের নাম, ঠিকানা পেয়ে যায় পুলিশ। এরপর ঘটনা ঘটার মাত্র ৬ ঘণ্টার মধ্যে সেই রাতেই গাইঘাটার চাঁদপাড়ার ভেন্নাপাড়ার বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত দুলাল সরকারের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বাইক সহ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া গয়নাও। শনিবার পুলিশ হেফাজত চেয়ে ধৃতকে বারাসত আদালতে তোলা হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন