সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার হল। এবার যে গ্রেপ্তার হয়েছে, সে একজন মহিলা। একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বনগাঁ থানার পুলিশ উত্তর দিনাজপুর জেলা থেকে এই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতকে বুধবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়।
পড়াশোনার সুবিধার্থে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গত কয়েক বছর ধরেই একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য তাদের নিজেদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর এই সুযোগের অপব্যবহার করছে এক শ্রেণীর অসাধু চক্র। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এই অসাধু চক্র ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্য টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এবছর এই রাজ্যে এইভাবে কোটি কোটি টাকা বেহাত হয়ে গেছে। একাংশের ছাত্রছাত্রীদের বঞ্চিত করে সেই টাকা চলে গেছে প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে। রাজ্যে সরকার এব্যাপারে তৎপরতা শুরু করলে পুলিশের জালে একে একে ধরা পড়তে থাকে জালিয়াতেরা। বনগাঁ তানা এলাকাতেও এই ধরনের জালিয়াতির শিকার হয়েছে বেশ কয়েকজন স্কুল পড়ুয়া।
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে যখন তোলপাড় শুরু হয়, তখন জানা যায় বনগাঁ থানা এলাকার শক্তিগড় হাইস্কুল এবং কবি কেশবলাল বিদ্যাপীঠ নামে দুটি স্কুলের মোট ২৭ জন ছাত্রছাত্রীর ট্যাবের টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে নি। এরপরই ওই দুই স্কুলের পক্ষ থেকে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে, রাজ্যের অন্য জেলায় এই জালিয়াতেরা ছড়িয়ে রয়েছে।
এরপরই বনগাঁ থানার একটি বিশেষ দল ভিন জেলার এক যুবককে গ্রেপ্তার করে। আদালতের নির্দেসে তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পুলিশ এই চক্রের অন্যদের সন্ধান পায়। সেই সূত্র ধরেই উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানার বাসিন্দা আনোয়ারি খাতুনকে গ্রেফতার করলো বনগাঁ থানার পুলিশ। বুধবার তাকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। পুলিশের আবেদন অনুযায়ী ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন