সমকালীন প্রতিবেদন : ভাতৃদ্বিতীয়া হলো হিন্দুদের দ্বারা পালিত একটি জনপ্রিয় উৎসব। এটি কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে উদযাপিত হয়ে থাকে। এই উৎসবের বাজারে মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। তাই আজ কথা বলব মালদার ইংরেজ বাজার শহরের মিষ্টির কথা নিয়ে। এখানে জনপ্রিয় সুস্বাদু মিষ্টান্ন কিনতে ভিড় জমান সাধারন মানুষ।
মিষ্টি বিক্রেতাদের মতে, সাধারন মানুষের সুবিধার্থে মিষ্টির দাম ধার্য করা হয়েছে ১০ টাকা থেকে ৫০ টাকা। কিন্তু তাদের দাবি, এই বছর ছানা এবং ক্ষিরে যেন আকাল পরে গিয়েছে। আর যার ফলে তারা নানা রকমের সুস্বাদু মিষ্টান্ন বানাতে সক্ষম হচ্ছেন না। ইংরেজবাজার শহরের একটি প্রতিষ্ঠিত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রতন সুইটস।
নেতাজি সুভাষ রোড এলাকায় অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে মিষ্টান্ন দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে নতুনত্ব। যেখানে পোস্তর রসকদম্ব, দুধ চমচম, ক্ষীরের কানসার্ট। যা এক পিসের দাম হল মাত্র ১০ টাকা। ক্ষীরের রসমালাই, মিহিদানা থেকে বোঁদে, মিষ্টি দই, রকমারি মিষ্টি কিনতেই জড়ো হন মিষ্টিপ্রিয় সাধারণ মানুষ।
মালদা জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা বিজয় দাস জানান, প্রত্যেক বছর হরেক রকম মিষ্টি তৈরি করা হয়। বিদেশ থেকেও অনেকে আসেন এখানে এই সুস্বাদু মিষ্টির টানে। ভাইফোঁটার সময় লালমোহন, ল্যাংচা, সন্দেশ, লাড্ডু , মিহিদানা এই রকমের মিষ্টির চাহিদায় রয়েছে প্রচুর পরিমানে।
কিন্তু ছানা, ক্ষিরের উৎপাদন কমে যাওয়াতে মালদার ইংরেজবাজার ব্লকের মহদিপুর এলাকা থেকেই মূলত ছানা এবং ক্ষীর বিক্রি করতে আসেন পাইকাররা। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই এই ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন অনেকেই। যার ফলে এই ব্যবসার ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তিত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন