সমকালীন প্রতিবেদন : জাল নথি দেখিয়ে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বিক্রি করার একটি বড় চক্রের সন্ধান পেল উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পুলিশ। এটা এক ধরনের প্রতারণা। আর এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গোপালনগরের আকাইপুর এলাকার বাসিন্দা ব্রজেন সরকারের আকাইপুর এলাকায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড বিক্রির দোকান রয়েছে। ব্রজেনের ডাকে বুধবার রাতে সেখানে হাজির হয় গোপালনগর থানার মামুদপুরের বাসিন্দা পলাশ মজুমদার, বনগাঁ থানার মুস্তাফিপাড়ার অলোক মন্ডল এবং বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া এলাকার বিক্রম গুপ্ত।
গোপান সূত্রে গোপালনগর থানার পুলিশের কাছে খবর আসে যে, আকাইপুরে ব্রজেনের দোকানে ৪ জালিয়াত সিম কার্ডের বিষয় নিয়ে লেনদেন করবে। সেই অনুযায়ী পুলিশের একটি দল ওই দোকানে হানা দিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। সেই দোকান থেকে বিভিন্ন নামী কোম্পানির ১২২টি সিম কার্ড পাওয়া যায়।
অভিযুক্তরা এই সিম কার্ডগুলির উপযুক্ত কাগজপত্র না দেখাতে পারায় সিম কার্ডগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি, তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে যে, অন্য ব্যক্তির নথি জাল করে এই প্রতারক চক্র মোটা দামে বিভিন্ন মানুষের কাছে এই সিম কার্ড বিক্রি করে। এটা এক ধরনের বড়সড় প্রতারণা।
ধৃতদের বৃহস্পতিবার বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আরও কারা কারা জড়িত আছে, তা জানার জন্য পুলিশ ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে। বিচারক পুলিশের সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ধৃতদেরকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী সমীর দাস জানান, অন্য ব্যক্তির নথি জাল করে এইভাবে সিম কার্ড বিক্রি করা দেশের নিরাপত্তার পক্ষেও চিন্তার বিষয়। সঠিক নথি ছাড়া এইভাবে সিম কার্ড জোগাড় করে কোনও দুষ্টচক্র খুন বা অন্যান্য যেকোনও ধরনের অপরাধ করলে, তাকে সনাক্ত করা পুলিশের পক্ষে কঠিন। তাই এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্তদের কঠোর সাজা হওয়া প্রয়োজন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন