Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৪

উপনির্বাচনের সকালে গুলিতে প্রাণ গেল তৃণমূল নেতার

 

Shots-on-the-morning-of-the-by-election

সমকালীন প্রতিবেদন : রাজ্যের ৬ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন চলছে। আর ভোটের সকালেই চলল গুলি। এক্কেবারে সাত সকালেই উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় গুলিতে খুন হলেন এক তৃণমূল নেতা। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো।


জানা গেছে, এদিন সকালে থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতিকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। ভাটপাড়া পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল সভাপতি অশোককুমার সাউকে

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এরপর সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। 


গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার বাড়ি জগদ্দলের পাল ঘাট রোডের বজরঙ্গ পরিষদের কাছে। বাড়ির কাছেই জগদ্দল থানা। থানার কাছে বুধবার সকালে একটি চায়ের দোকানে চা খেতে এসেছিলেন তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি ৪০ বছরের অশোক কুমার সাউ। দুষ্কৃতীরা আচমকা পায়ে হেঁটে এসে অশোককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। 


অভিযোগ, অবৈধ হুকিংকে ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কাজিয়ার জেরে এই ঘটনা। ঘটনার খবর পেয়ে ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া সরেজমিনে ঘটনার তদন্তে আসেন।


সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি করলেন আক্রান্তের পরিবার। নিহত নেতার পরিবারের অভিযোগ, গুলি চালিয়েছে তৃণমূলই। তাই প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব বলে মনে করা হচ্ছে।


এদিকে, বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে নৈহাটি কেন্দ্রের উপনির্বাচন। মন্দিরের সামনে নৈহাটি বড়কালী পুজো সমিতির

ট্রাস্টের পক্ষ থেকে নোটিশ দিয়ে জানানো হয়, উপনির্বাচনের জন্য আজ মন্দির বন্ধ থাকবে। তবে দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তরা এদিন বড়মার কাছে পুজো দিতে এসে লাইনে দাঁড়ান।


তারা অভিযোগ জানান, নৈহাটি কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে মন্দিরের পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকে মাকে পুজো দেন। পুজো দিয়ে বেরোতেই তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ভক্তরা। এই বিক্ষোভ নিয়ে মন্দির কমিটির সদস্য অরিত্র ব্যানার্জি বলেন, উপনির্বাচনের জন্য ফেসবুক পেজে মন্দির বন্ধ থাকার কথা জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও ভক্তরা এদিন পুজো দিতে আসেন। পুজো দিতে না পারায় ভক্তরা ক্ষোভ দেখান। 


একজন ভক্ত জানান, অনেকক্ষন ধরে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। সাথে বয়স্ক মানুষ। নোটিশ বোর্ড সবাই দেখতে পায় নি। তাই সোশ্যাল মিডিয়াতে আপডেট দেওয়া উচিত ছিল। ভোটের সাথে মন্দির বন্ধ রাখার কোন সম্পর্ক নেই। যদিও পরে ভক্তদের মাকে দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন