সমকালীন প্রতিবেদন : ২০১৪ সালের পর ২০২৪ সালে আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারকে রিটেন না করে সমর্থকদের বড়সড় চমক দিয়েছে নাইটদের টিম ম্যানেজমেন্ট। শ্রেয়সের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্টে চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কের জন্য নিলামে মোটা অঙ্কের টাকা বরাদ্দ রাখছে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইগুলি। অন্যদিকে, অবাক করার মতো কাণ্ড ঘটিয়েছে দিল্লি দল। ঋষভ পন্থের মতো তারকা ক্রিকেটারকে দলে ধরেই রাখেনি দিল্লি। ২০১৬ সাল থেকে পন্থ দিল্লি দলের সদস্য।
এর আগে দুবার তাঁকে রিটেন করেছে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার তাঁকে রিটেন করেনি। দিল্লি ছেড়ে এবার কলকাতাতে আসবেন পন্থ? অঙ্ক মিললে সেই সম্ভাবনা কিন্তু থাকছেই। প্রথমে উল্লেখ করা দরকার যে, কেন ঋষভকে প্রয়োজন কলকাতার?
প্রথমত নাইটদের একজন অধিনায়ক প্রয়োজন, দ্বিতীয়ত তাদের দরকার একজন দক্ষ উইকেটরক্ষক, তার উপর একজন ভালো মিডল অর্ডার ব্যাটার। যিনি রিঙ্কু সিংয়ের সঙ্গে ম্যাচ ফিনিশ করতে পারবেন। কেকেআরের এই তিনটি প্রয়োজনই মেটাতে পারেন একজনই, তিনি ঋষভ পন্থ।
অন্যদিকে, দল বদল করলে পন্থও চাইবেন একটা সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিতে যোগ দিতে। এক্ষেত্রে কেকেআর তাঁর জন্য সবথেকে ভালো অপশন। কারণ, নাইটরা বর্তমান সময়ের চ্যাম্পিয়ন দল। এর আগে আরও দুবার তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। কলকাতার মানুষের ক্রিকেট প্রেম অতুলনীয়।
সেই শহরের দলে খেললে ক্রিকেটপ্রেমীদের সম্মান ও ভালোবাসা পাবেন ঋষভ। উল্লেখ্য, রিটেনশনের পর কেকেআরের হাতে থাকছে ৫১ কোটি টাকা। কিন্তু এখানেই সমস্যা, পন্থের জন্য রেকর্ড দাম উঠতে পারে। ৫১ কোটি টাকার অর্ধেকও যদি একজনের জন্য খরচ করতে হয়, তাহলে বাকি দল গঠন করা সমস্যার হবে কেকেআরের জন্য।
শোনা যাচ্ছে, দক্ষ ভারতীয় ক্রিকেটারদেরই নিলামে টার্গেট করছে কেকেআর। এদিকে আবার আরটিএমের জন্য অপেক্ষা না করে ছয়টি রিটেনশন স্লট নিলামের আগেই ব্যবহার করে নিয়েছে নাইটরা। কেকেআর দল শ্রেয়সকে দলে ফেরাতে না পারলে বিকল্প অধিনায়ক লাগবে।
সেইসঙ্গে একজন উইকেটরক্ষক নারিনের সঙ্গী ওপেনিং ব্যাটার লাগবে। স্টার্কের বিকল্প বিদেশি পেসারও লাগবে নাইটদের। যদিও টাকার অঙ্কে পাল্লা দিয়ে পন্থকে দলে নিতে পারে কেকেআর, সেটা হবে আরও বড় চমক। শেষমেষ কি বাদশার সেনাপতি হবেন পন্থ? উত্তর দেবে সময়ই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন