সমকালীন প্রতিবেদন : সন্তানসম্ভবা এক সারমেয়কে অকারণে লাঠি দিয়ে মারছিল দুই প্রতিবেশী। আর তারই প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবেশী দুই যুবকের হাতে মারধোর এবং শ্লীলতাহানির শিকার হতে হলো প্রতিবাদী এক মহিলাকে। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বনগাঁ থানা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
জানা গেছে, বনগাঁ থানার সুভাষপল্লী এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ নিজের বাড়ির কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা। এই সময় তিনি লক্ষ্য করেন যে, সুদীপ্ত ঘোষ ও বিজয় ঘোষ নামে দুই প্রতিবেশী অকারণে রাস্তার একটি সন্তানসম্ভবা সারমেয়কে লাঠি দিয়ে মারধোর করছে। বিষয়টি অত্যন্ত অমানবিক লাগে ওই মহিলার।
এরপর তিনি ওই দুই প্রতিবেশীর এহেন অন্যায় কাজের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, এরপরই ওই দুই ব্যক্তি তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁকে মারধোর শুরু করেন। সঙ্গে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলতে থাকে। এমনকি তাঁর পড়নের পোষাকটি ছিঁড়ে দিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানী করে। এই অবস্থায় ওই মহিলা আর্তনাদ করতে থাকলে অন্যান্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন।
বিপদ বুঝতে পেরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ওই দুই ব্যক্তি। যাওয়ার আগে প্রতিবাদী মহিলাকে হুমকি দিয়ে যায় যে, কুকুরটার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকেও পুটুয়ে মেরে ফেলা হবে। কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না। এই পরিস্থিতিতে রাতেই সুদীপ্ত ঘোষ ও বিজয় ঘোষের নামে বনগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। পুলিশ সুদীপ্ত ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে।
বাকি আর এক অভিযুক্ত বিজয় ঘোষের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ধৃত সুদীপ্ত ঘোষকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হয়। সন্তানসম্ভবা সারমেয়র উপর এহেন অমানবিক আচরণের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ করেছেন পশুপ্রেমীরা।
তাঁদের বক্তব্য, সারমেয়দের মতো এই ধরনের পশুর অসহায়। তাদের ভালোবাসার বদলে যারা তাদের উপর এইধরনের অমানবিক আচরণ করে, তাদের চরম শাস্তি পাওয়া দরকার। প্রতিবাদী মহিলার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন