Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪

দালালচক্রের বিরুদ্ধে বনগাঁ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি আইনজীবীদের একাংশের

 ‌

Memorandum-to-SP

সমকালীন প্রতিবেদন : 'দালাল চক্র সক্রিয় রয়েছে বিভিন্ন থানায়। আর ‌তাদের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে জাল নথি। সেই জাল নথি দাখিল করে আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করে আসামিদের ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।' এমনই অভিযোগ তুলে এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালেন বনগাঁ আদালতের একাংশের আইনজীবী এবং লক্লার্কেরা। 

মঙ্গলবার দুপুরে নিজেদের ৫ দফা দাবির সমর্থনে বনগাঁ পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন বনগাঁ ল ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং লক্লার্ক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা। এদিন তাঁরা বনগাঁ আদালত থেকে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসে পৌঁছান। এরপর তাঁদের এক প্রতিনিধিদল পুলিশ সুপারের কাছে সেই স্মারকলিপি জমা দেয়।

বনগাঁ লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সমীর দাস এই প্রসঙ্গে বলেন, '‌জাল নথি দাখিল করে আদালত থেকে বিচারাধীন বন্দিদের কখনো জামিন করিয়ে আবার কখনো অন্যভাবে মুক্ত করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছে এক শ্রেণীর দালাল চক্র। এর সঙ্গে থানার একশ্রেণীর পুলিশ এবং আদালতের পুলিশ কর্মী যুক্ত রয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এই প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক একটি ঘটনার উল্লেখ করেন।

শুধু তাই নয়, তাঁর আরও অভিযোগ, জেলে থাকা বিচারাধীন বন্দিরা দুষ্টু চক্রের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। এক্ষেত্রে এই দালাল চক্র এবং জেল পুলিশের একাংশ জড়িত রয়েছে। তাই জেলের বিভিন্ন অংশে সিসি ক্যামেরা এবং আদালতে দক্ষ পুলিশ কর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীদের এবং লক্লার্কদের একাংশ। বনগাঁ আদালত থেকে বেশ কিছু কেস রেকর্ডও মিসিং বলে সমীর দাস এদিন অভিযোগ করেন।

যদিও এদিনের এই স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচির বিরোধিতা করেছে বনগাঁ বার অ্যাসোসিয়েশন এবং তৃণমূল লিগ্যাল সেল। তৃণমূল লিগ্যাল সেলের বনগাঁ শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রসেনজিৎ বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, 'বনগাঁ আদালতের একজন সিনিয়র আইনজীবী তার ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু আইনজীবী এবং ল ক্লার্ককে একত্রিত করে প্রশাসনের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য এই কর্মসূচি নিয়েছেন।' 

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেন যে, 'বনগাঁর ওই আইনজীবী বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বনগাঁ শহরে একটি ৪ তলা ভবন তৈরি করেছেন। জেলা শাসকের দপ্তর থেকে সেই ভবনকে বেআইনী ঘোষণা করে সেটি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নির্দেশ কার্যকরী করা থেকে প্রশাসনকে বিরত রাখতে, প্রশাসনের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বনগাঁ পুলিশ প্রশাসন সঠিকভাবে তার কাজ করছে।‌'‌





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন